Chinsurah

ইডেনের খেলার টিকিট বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন ক্রিকেটারের 

সিএবি সূত্রে খবর, আইপিএলের ক্ষেত্রে হুগলি জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে মোট ৬৫টি টিকিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০টি ক্রয়যোগ্য। ১০টি সিএবি-র সদস্যদের জন্য ধার্য।

Advertisement

সুদীপ দাস

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩৮
Share:

হুগলি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস। — নিজস্ব চিত্র।

ইডেনে আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের টিকিট বণ্টন নিয়ে হুগলি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন তুললেন মোহনবাগান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অর্ণব নন্দী। অর্ণব আদতে চুঁচুড়ার বাসিন্দা। এখন থাকেন কলকাতায়।

Advertisement

গত রবিবার রাতে সমাজমাধ্যমে অর্ণবের অভিযোগ, সিএবি (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল) সব জেলা দলের নথিভুক্ত খেলোয়াড়দের জন্য ইডেনে আয়োজিত আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের টিকিট বরাদ্দ করলেও হুগলিতে তা ওই সব খেলোয়াড়দের কাছে পৌঁছয় না। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে জানানো হয়, বিধায়ক সব টিকিট নিয়ে গিয়েছেন। তাই টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। অর্ণবের এই ‘পোস্টে’ জেলা ক্রীড়ামহলে শোরগোল পড়ে।

সিএবি সূত্রে খবর, আইপিএলের ক্ষেত্রে হুগলি জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে মোট ৬৫টি টিকিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০টি ক্রয়যোগ্য। ১০টি সিএবি-র সদস্যদের জন্য ধার্য। বাকি ৩৫টি টিকিট নিয়েই অর্ণবের প্রশ্ন। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘বিগত আট-দশ বছর ধরে এমন চলছে। খেলোয়াড়দের জন্য আসা টিকিট তাঁদের হাতেই পৌঁছচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে নেতা ও এমএলএ-রাই মাঠে নামুন।’’

Advertisement

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি হলেও তিনি টিকিট সম্পর্কিত বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবিপ্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার তনুময়বসুর। এ ব্যাপারে সংস্থার ক্রিকেট বিভাগের সম্পাদক ধর্মেন্দ্র সিংহের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি। তনুময় বলেন, ‘‘সিএবি-র সমস্ত বিষয় ধর্মেন্দ্রই দেখেন। তিনিই বলতে পারবেন।’’

অর্ণবের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর দাবি,আইপিএলের ক্ষেত্রে ‘রেড চিলিস’ (কেকেআর মালিক শাহরুখ খানের সংস্থা) সিএবিকে কিছু টিকিট বিনামূল্যে দেয়। সেই টিকিট তারা জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে পাঠায়। হুগলির সংস্থাকে পাঠানো মাত্র ৩৫টি টিকিট শ্রীরামপুর ও আরামবাগ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা-সহ সংশ্লিষ্ট কিছু জায়গায় দেওয়ার পর অন্য কাউকে টিকিট দেওয়ার অবকাশই থাকে না। বিধায়ককে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি অর্ণবের অভিযোগে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘‘অর্ণবের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কিছু দরকার হলে আমাকে বলতে পারতেন। কিন্তু এ ভাবে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমি সিএবির প্রাক্তন সদস্য। টিকিটের জন্য আমার জেলার কোটার দরকার পড়ে না।’’

a

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement