Duare sarkar

ফের হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’, এ বার ভ্রাম্যমাণ শিবিরও

বাগনান-২ ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, সেখানকার সাতটি পঞ্চায়েতে মোট ১৪০টি শিবির করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮টি ভ্রাম্যমাণ শিবির হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া-আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। তার আগে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে রাজ্য সরকার। এ বার প্রতি ব্লক এবং পুর এলাকায় যত শিবির হবে, তার মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পয়লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পঞ্চম দফার ওই কর্মসূচি। হাওড়া ও হুগলি— দুই জেলাতেই এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের শিবিরগুলি থেকে এই প্রকল্পে জবকার্ডের জন্য আবেদনপত্র বিলি করা হত। এ বারে আর এই প্রকল্পের পরিষেবা মিলবে না শিবিরে। কারণ, যেহেতু কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে অনেক দিন ধরে টাকা দিচ্ছে না, তাই কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে, শিবির থেকে নতুন করে জবকার্ডের আবেদনপত্র বিলি না-করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোট ২৭টি পরিষেবা মিলবে শিবিরে। নতুন ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দু’টি পরিষেবা— ভূমি দফতরে পাট্টা এবং বিদ্যুৎ দফতরে নতুন সংযোগ ও বকেয়া বিলে আংশিক ছাড়ের আবেদন করা যাবে।

হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিগুলিতে ভ্রাম্যমান শিবিরের কথা বলা ছিল না। কোনও কোনও ব্লক প্রশাসন নিজেদের উদ্যোগে কিছু ভ্রাম্যমাণ শিবির করেছিল। হুগলি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েত এলাকাতেই সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ শিবির হবে। আমরা ঠিক করেছি, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় যে দিনগুলিতে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলবে, সে দিন একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ শিবিরওরাখা হবে।”

Advertisement

বাগনান-২ ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, সেখানকার সাতটি পঞ্চায়েতে মোট ১৪০টি শিবির করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮টি ভ্রাম্যমাণ শিবির হবে। ভ্রাম্যমাণ শিবিরগুলি করা হবে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়। টোটো করে সেইসব এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে যাবেন সরকারি কর্মীরা।

জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি রাখতে চায় না সরকার। সেই কারণেই আরও বেশি মানুষকে সরকার এই কর্মসূচির সঙ্গে জুড়তে চাইছে।

‘দুয়ারে সরকার’-এর আগের চারটি কর্মসূচির পরে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকার অনেকেই শিবিরগুলিতে আসতে পারেন না। তাই তাঁরা বঞ্চিত হন। ভ্রাম্যমাণ শিবিরের মাধ্যমে সেই ফাঁক পূরণ করা হবে। এক একটি পঞ্চায়েতে চারটি করে ভ্রাম্যমাণ শিবির করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এর ফলে, কর্মসূচিটির জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সহজ হবে বলেও অনেকেমনে করছেন।

তবে, এ বার শিবির করার জন্য স্কুল নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, স্কুল চালু রয়েছে। এই অবস্থায় বিকল্প জায়গা খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। গ্রামের আটচালা বা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হলে শিবির করার পরিকল্পনা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement