Kanchan Mullick

নিখোঁজ কাঞ্চন মল্লিক! তৃণমূল বলছে কাজেই আছেন বিধায়ক, ফের পোস্টার-রাজনীতির উত্তাপ

ইদানীং বিধায়ক বা সাংসদ নিখোঁজ, এই মর্মে পোস্টার দেওয়ার চল তৈরি হয়েছে। আসানসোলে সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হার নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়ার পরেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রার নামেও পোস্টার পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৭
Share:

কাঞ্চনের খোঁজে বিজেপির পোস্টার। — ফাইল ছবি।

আবারও পোস্টার-রাজনীতির উত্তাপ হুগলিতে। উত্তরপাড়ার পর ডানকুনি। স্থানীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নামে নিখোঁজ পোস্টারে ছয়লাপ সেখানকার রঘুনাথপুর। সেই পোস্টারে লেখা হয়েছে, বিধায়ক কাঞ্চনকে খুঁজে দিতে পারলে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে। তলায় লেখা, ভারতীয় জনতা পার্টি। বুধবার সকালে রঘুনাথপুরের বিভিন্ন জায়গায় ওই পোস্টার দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

Advertisement

কাঞ্চনের সন্ধান চেয়ে ডানকুনিতে পোস্টার বিজেপির। — নিজস্ব চিত্র

ইদানীং স্থানীয় সাংসদ, বিধায়কদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই মর্মে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়ছে। আসানসোলে এমন পোস্টার পড়েছিল তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হার নামে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বিজেপি এই কাজ করেছে। তার পরই আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল নিখোঁজ এই মর্মেও ছয়লাপ হয়েছিল এলাকা। বিজেপি তখন এর পিছনে তৃণমূলকে দায়ী করেছিল। তার পরেই উত্তরপাড়াতে কাঞ্চন নিখোঁজ এই মর্মে পোস্টার পড়ে। তার জবাবে কাঞ্চন নিজে মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমি কাঞ্চন মল্লিক, অশরীরী নই। আমার বিধানসভায় হাজার খানেক কালীপুজো হয়। আমি তো সুপারম্যান নই। বাকি যাঁদের কাছে যেতে পারছি না তাঁরা আমার নামে পোস্টার দিলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যিনি পোস্টার ফেলেছেন তিনি আমার সঙ্গে বিশেষ ভাবে যোগাযোগ করতে চাইলে করতে পারেন। তাঁর বাড়ি যাব। এমন কয়েকটা পোস্টার ফেলে আমাকে তাড়ানো যাবে না। আমি আমার কাজ করে যাব।’’

এর পরেই বুধবার ডানকুনিতে বিধায়কের নামে নিখোঁজ পোস্টার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘রঘুনাথপুরের এলাকাবাসী বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে খুঁজে পাচ্ছেন না। সন্ধান দিতে পারলে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।’’ যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তবে তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই এ সব করছে। বিধায়ক এলাকায় শুধু থাকেন না, উন্নয়নের কাজও করেন। সেটা ওদের চোখে পড়ে না।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement