becharam manna

Becharam Manna: রাস্তা পেরোতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন মানুষ, ফুটব্রিজের দাবিতে ধর্নায় রাজ্যের মন্ত্রী

সোমবার ভাষা দিবসের কর্মসূচি হিসেবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ১১ জায়গায় ধর্নায় বসেন বেচারাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১০
Share:

নিজস্ব চিত্র।

বড় গাড়ি চলার রাস্তা ধরে চলাফেরা করতে গিয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে পথদুর্ঘটনায়। সাধারণ মানুষের রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটব্রিজ তৈরির দাবিতে এ বার ধর্নায় বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। মন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দিলেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক করবী মান্না-সহ বহু তৃণমূল নেতা।

Advertisement

সোমবার ভাষা দিবসের কর্মসূচি হিসেবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ১১ জায়গায় ধর্নায় বসেন বেচারাম। তিনি জানান, ‘‘দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষ এবং দু’হাজার গবাদি পশু মারা গিয়েছে পথদুর্ঘটনায়। সিঙ্গুর, হরিপাল, চণ্ডীতলা থানা এলাকার মানুষের বসতি এক দিকে আর চাষের জমি আর এক দিকে। স্কুল, বাজার, হাসপাতাল যেতে হয় হাইওয়ে পেরিয়ে। আর অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে ওই রাস্তা পেরোনোর সময়।’’

মন্ত্রী জানান, হরিপালের কানগই, মহিশ টিকরি, সুতির মোর, জয়মোল্লা হিমাদ্রী কারখানা মোড়, সিঙ্গুরের সিংহের ভেরি, খাসের চক, ঘনশ্যামপুর মোর, চণ্ডীতলার কাপাসারিয়া, পাঁচঘরা, জলাপারার মানুষদের এ ভাবেই জাতীয় সড়ক পেরোতে হয়। সেখানে সাবওয়ে অথবা ফুটব্রিজ করতে হবে। সার্ভিস রোডের কাজ শেষ না-হওয়ার কারণে জাতীয় সড়কে উঠতে হয় গ্রামবাসীদের। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ টোল নেন, তাই সব দায় তাঁদেরই নিতে হবে। তাঁদেরই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাস, ফুটব্রিজ তৈরি করতে হবে আর সার্ভিস রোডের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। বেচারামের বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন পথদুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement