Twaha Siddiqui

ফুরফুরায় জোটের কথা বলতে গিয়ে আব্বাসের দেখা পেলেন না মান্নান, আসরে নেমে খোঁচা ত্বহার

আব্বাসের দেখা না পেলেও, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট সম্ভাবনার মধ্যে ‘নেতিবাচক’ কিছু দেখছেন না মান্নান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০১:৫৬
Share:

আব্দুল মান্নান, আব্বাস সিদ্দিকি ও ত্বহা সিদ্দিকি ফাইল চিত্র।

পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খালিহাতেই ফিরতে হল কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে। বুধবার সাক্ষাতের কথা থাকলেও ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাসের দেখা পাননি মান্নান। যার জেরে দৃশ্যতই কিছুটা বিরক্ত তিনি। যদিও এখনও হাল ছাড়তে নারাজ ওই কংগ্রেস নেতা। তবে এ দিনের ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন আর এক পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।

Advertisement

মান্নানের দাবি, গত ২১ জানুয়ারি নিজের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) তৈরির আগে থেকেই টেলিফোনে আব্বাস প্রস্তাব দেন, বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচন লড়ার। তাঁর দাবি আব্বাসের ‘ইতিবাচক’ মনোভাব দেখেই তিনি জোট গঠনের পথে এগোতে থাকেন। সেই মতো কথা ছিল, বুধবার ফুরফুরায় বৈঠক হবে দু’তরফের। কিন্তু বুধবার ফুরফুরায় পৌঁছে মান্নান জানতে পারেন আব্বাস গিয়েছেন মেদিনীপুরে। ফেরার পথে তিনি ‘জ্যামে আটকে পড়েছেন’। মান্নানের সঙ্গে কথা হয় আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান তথা আব্বাসের ভাই নৌশাদ সিদ্দিকির। কিন্তু আব্বাস না থাকায় বাম, কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফ-এর জোটের বল এ দিন সাময়িক ভাবে থমকে গিয়েছে।

বুধবার আব্বাসের দেখা না পেলেও, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট সম্ভাবনার মধ্যে ‘নেতিবাচক’ কিছু দেখছেন না মান্নান। এ দিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, ‘‘উনি (আব্বাস সিদ্দিকি) বাইরে যখন বক্তৃতা দিচ্ছেন তখন জোটের পক্ষেই বলছেন। তাই জোটে অনীহা বলব না। যদি সকলে প্রয়োজন মনে করে তবে জোট হবে। আজ উনি আটকে গেলেন না কী হল জানি না। পরবর্তী কালে বৈঠক হবে কি না দেখা যাবে। আমাদের সঙ্গে বামেদের সঙ্গে জোটের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আমরা ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব ঠিক করে ফেলব। এর মধ্যে অন্য কেউ যদি আসেন, তা হলে আসবেন।’’

Advertisement

জোট গড়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে নৌশাদ বলছেন, ‘‘বৃহৎ স্বার্থে আমরা জোট চাইছি। এখনও বৈঠকের তারিখ স্থির হয়নি। তবে আমরা দু’দিনের মধ্যে তা ঠিক করে ফেলব।’’

মান্নান এবং আব্বাসের সাক্ষাৎ না হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ত্বহা, তিনি বলেন, ‘‘এটা আব্দুল মান্নানের অপমান, কংগ্রেসের অপমান। দেখা করার জন্য ডেকেও যদি দেখা না করেন তবে সেটা অপমানই হয়। সব দেখে মনে হচ্ছে, ডুবতে থাকা বাম কংগ্রেস খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে। তাদের এতটাই খারাপ অবস্থা যে একটা বাচ্চা ছেলের হাত ধরতে হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement