সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক সজল মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
শুধু প্রতারণাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক সজল মুখোপাধ্যায় একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত। সোহমের নালিশের ভিত্তিতে এখন পুলিশের জালে হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সজল। তিনি গ্রেফতার হতেই বিধায়কের আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁর প্রতিবেশীরা।
কোন্নগরের অমৃতলাল সরণির বাসিন্দা ছিলেন সোহমের আপ্ত সহায়ক। তাঁর প্রতিবেশী মায়া মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় আমার মেয়েকে প্যান্ডেলের পিছনে ডেকে নিয়ে গিয়ে নোংরামি করার চেষ্টা করেছিল ও। ওকে ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাই। সে দিন ওর হাত-পা ভেঙে দিতাম। শুধু ‘দাদা’ ডাকি বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম।’’
মুদিখানার দোকানের মালিক বকেয়া টাকা চাওয়ায় তাঁর ফ্ল্যাটের ভিতরে সদলবলে ঢুকে হুমকি দিয়েছিলেন সজল। এমন অভিযোগও উঠেছে। তাঁর ‘দাদাগিরি’র ভিডিয়োও সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে কোন্নগরে। স্থানীয় বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘তৃণমূলে এমন সজল অনেক আছে। ভাগের গন্ডগোলের জন্য হয়তো গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে এটা বড় ব্যাপার নয়। কারণ, কোন্নগরে তৃণমূলের এমন অনেক তোলাবাজ পাওয়া যাবে।’’
কোন্নগর শহরের তৃণমূল সভাপতি রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘সজল মুখোপাধ্যায় দলের সক্রিয় কর্মী নন। মাঝে মাঝে তার উদয় ঘটে। আবার অস্তও চলে যায়। কেউ অন্যায় করলে তার জন্য আইন আছে। আমরা বলব, কেউ বেআইনি কাজ করবেন না।’’
সজলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সোহম নিজেই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার সজলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোহম জানিয়েছেন, আপ্ত সহায়ক হিসেবে নিযুক্ত করার পর সজলকে তিনি একটি গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। সেই গাড়ি এখন ‘উধাও’ বলে বিধায়কের অভিযোগ। সোহমের সন্দেহ, হয়তো গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন সজল।