একাধিক বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। এমনকি, ভয়ে ছোট মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে আবার বাড়িতে এনে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
এক, দুই করে তিনটি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তিন স্ত্রীই প্রচণ্ড অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এর পর প্রথম পক্ষের নাবালিকা মেয়েকে তার মামার বাড়ি থেকে এনে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হুগলির চুঁচুড়ার ঘটনা।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালক বয়সে প্রথম বিয়ে করেন অভিযুক্ত। এর পর আরও দুটো বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কোনও বিয়েই টেকেনি। প্রথম পক্ষের দুই কন্যার এক জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ে থাকত মামার বাড়িতে। বছর খানেক আগে সেখান থেকে তাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা। কিন্তু এর পর একাধিক বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। এমনকি, ভয়ে ছোট মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে আবার বাড়িতে এনে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
গত ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিযুক্তের। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাড়ি ছাড়েন। অভিযোগ, সে দিন রাতেই প্রথম পক্ষের ছোট মেয়ের হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। এমনকি, কাউকে এই কথা বললে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ধর্ষণের পর একটি ঘরে মেয়েকে আটকে রেখে চলে যান বাবা। কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে দিদার কাছে চলে যায় নির্যাতিতা। কিন্তু দিন কয়েক আগে সেখান থেকে আবার মেয়েকে ফিরিয়ে আনেন বাবা। অভিযোগ, বাড়িতে নিয়ে আসার সময় পেঁয়াজের ক্ষেতে মেয়েকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। তার পর লোক জানাজানির ভয়ে মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। এর মধ্যে নির্যাতিতার সৎ মা শনিবার বাড়িতে চলে আসেন। এর পর মেয়েটি তাঁর কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। তিনি গ্রামবাসীদের জানানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উত্তেজনা। অভিযুক্তকে ধরে মারধর করে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। খবর যায় থানায়। এর পর পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতা মেয়ে এবং স্ত্রী ওই ব্যক্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থানায়। এর পর পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। রবিবার অভিযুক্তকে চুঁচুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে তাঁর ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।