প্রস্তুত: মুখ্যমন্ত্রীর বৈকালিক ভ্রমণের জন্য সেজে উঠছে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডের পাশের মাঠটি। ইতিমধ্যেই বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে তার একাংশ। মঙ্গলবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
শরীর ভাল রাখতে মাঝেমধ্যে বিকেলের দিকে কিছু ক্ষণের জন্য গাছপালা দিয়ে ঘেরা হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে হাঁটতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে তাঁর এই ইচ্ছে প্রকাশের বার্তা পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে তৈরি হওয়া, নবরূপে সজ্জিত ‘খেল সিটি’র কোন দিকে হাঁটলে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না, মঙ্গলবার জেলাশাসক মুক্তা আর্যর নেতৃত্বে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পুরসভার কর্তারা। একই সঙ্গে এ দিন থেকে তাঁদের উপস্থিতিতে শুরু হল শহরের রাস্তা ধোয়া এবং পার্ক ও উদ্যানের গাছে জল দেওয়ার কাজও।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী ডুমুরজলা হেলিপ্যাডের পাশে সবুজে মোড়া ফুটবল মাঠের ধার দিয়ে বৈকালিক ভ্রমণের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। প্রসঙ্গত, তাঁরই নির্দেশে গত বছর ৫৪ একরের ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি সেটি ঘিরে বিভিন্ন ধরনের খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘খেল সিটি’। তার প্রথম দফার কাজ শেষ হলেও দ্বিতীয় দফার কাজ বাকি।
এ দিন হাওড়ার জেলাশাসকের নেতৃত্বে পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী, পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী, পুর কমিশনার ধবল জৈন, পূর্ত দফতর ও হিডকোর আধিকারিকেরা ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পাশে হেলিপ্যাড এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় যান। সেখানেই আগামী সপ্তাহ থেকে তিনি বিকেলে মাঝেমধ্যে হাঁটার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তাই তাঁর নিরাপত্তা-সহ অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ধুলো জমে থাকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই পুরসভা ঠিক করে, মঙ্গলবার থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রাত্যহিক ভিত্তিতে ধোয়ার কাজ শুরু হবে। সেই মতো এ দিন দমকলেরইঞ্জিন ও পুরসভার তিনটি স্প্রিঙ্কলার লাগানো গাড়ি পথে নামানো হয়। সেগুলি দিয়ে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ধোয়া ও গাছে জল দেওয়া হয়। এ ছাড়া, দমকলের একটি গাড়ি রাস্তার ডিভাইডারের গাছে জল দেয়।
ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ধোয়ার কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, এ দিন হেঁটে তা দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। পরে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথম দিন পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ধোয়া হল। ধাপে ধাপে শহরের মূল রাস্তাগুলিতে এ ভাবেই কাজ হবে।’’ ওই রাস্তার পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তারা ফোরশোর রোড, পঞ্চাননতলা রোড, বেনারস রোডের মতো রাস্তায় কতটা ধুলো জমেছে, তা-ও ঘুরে দেখেন। পুরসভা সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে ওই রাস্তাগুলিও প্রতিদিন জল দিয়ে ধোয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।