—নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলায় জেলায় ধিক্কার মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। হাওড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে মিছিল করেন স্থানীয় জোড়াফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। নদিয়ার শান্তিপুরেও বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করতে বুধবার বারাণসী গিয়েছেন মমতা। সেখানে গিয়ে গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার পথেই তাঁর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখানো হয় কালো পতাকা। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও তোলা হয়। পাল্টা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানও তুলতে দেখা যায় মমতাকে। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সপা-র কর্মীরাও ‘মমতা জিন্দাবাদ’ ধ্বনি তোলেন। এই ঘটনার পরেই বাংলার প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ-কর্মসূচির ডাক দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। ফেসবুক ও টুইটারেও বিক্ষোভ-কর্মসূচির কথা ছড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে তৃণমূলকর্মীদের। একই ডাক দেন দলের জেলা নেতৃত্ব।
সেই মতোই বৃহস্পতিবার হাওড়া সদর তৃণমূল নেতৃত্বের ডাকে শিবপুর ট্রাম ডিপো থেকে ময়দান পর্যন্ত মিছিল করেন কর্মীরা। ওই মিছিল থেকে মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্র সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নেতারা এসেছিলেন নির্বাচনী প্রচারের জন্য। কখনও এ ভাবে তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়নি। তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন এ ভাবে আক্রমণ, হেনস্থা করা হল? এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে তৃণমূল।’’
শান্তিপুর কলেজের সামনেও বিক্ষোভ-মিছিল করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। কলেজের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে সংগঠনের জেলার নেতা মনি সরকার বলেন, ‘‘মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর মহানুভবতায় এ রাজ্যে ছাত্র, যুব, মহিলা, কৃষক, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষেরা শান্তিতে বসবাস করছেন। তাঁর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পে সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ছাত্রছাত্রীদের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তাঁকে অপমান করা মানে সমগ্র ছাত্রসমাজের অবমাননা। এই কারণেই প্রতিবাদ করছি আমরা।’’
শিলিগুড়ি কলেজের সামনে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্নয় রায় বলেন, ‘‘মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় দেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রতি এ রকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। দল নির্দেশ দিলে আগামী দিনে কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা বাংলায় ঢুকতে পারবেন না।’’