হুগলিতে গত বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮ হাজার। এ বার বাড়ল প্রায় ১০ হাজার। —ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি। হুগলিতে গত বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮ হাজার। এ বার বাড়ল প্রায় ১০ হাজার। এমনটাই জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
শনিবার, মাধ্যমিক সংক্রান্ত সমন্বয় বৈঠক হল চুঁচুড়ায় হুগলি জেলাশাসকের দফতরে ‘গতিধারা’ সভাগৃহে। উপস্থিত ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তিনি জানান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের (যারা নিজেরা লেখে) জন্য এ বারই প্রথম রুল-টানা খাতা দেওয়া হবে। পোর্টালে আবেদন করলেই মিলবে ওই খাতা।
রামানুজের কথায়, ‘‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা সরকারের নৈতিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাই যাদের লিখতে একটু বেশি সময় লাগে, তাদের জন্য এই ব্যবস্থা।’’
হুগলিতে এ বারে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। গত বছর জেলায় মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছিল। এ বার ৩টি বেশি। পর্ষদের সিদ্ধান্ত, পরিকাঠামো অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ থেকে ৮০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।
জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস বসু জানান, এখনও পর্যন্ত জেলায় নবম থেকে দশম শ্রেণিতে ওঠা নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ২০০। এর সঙ্গে কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যুক্ত হবে। এর মধ্যে কেউ টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে বাদ পড়বে।
এ দিনের সমন্বয় বৈঠকে জেলাশাসক মুক্তা আর্য, জেলার চার মহকুমাশাসক, বিডিওরা এবং পুলিশকর্তা ও মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সব দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পর্ষদের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশিকাবলি সম্পর্কে সকলকে অবগত করানো হয়। পরীক্ষার ১৫ দিন আগে থেকে মাইক বা বক্স বাজানো নিষিদ্ধ হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল কিংবা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে প্রবেশ রুখতে আলোচনা হয়।
রামানুজ জানান, গত বছর থেকেই প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই বার পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে সমাজমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে ৪৫ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, "সে ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক, আমরা চাই না। তাই পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাকদেরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানাই।’’