Crisis of water

নামছে জলস্তর, পানীয় জলের জোগানে সমস্যা আরও দুই শহরে

হুগলি-চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভার যৌথ ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগে কেএমডিএ গঙ্গার জল শোধন করে পানীয় জলের একটি বড় প্রকল্প তৈরি করে বাঁশবেড়িয়ায়।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ০৮:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

তীব্র গরমে ভূগর্ভস্থ জলস্তর হু হু করে নামছে। তার উপরে ভাটার সময় গঙ্গার জল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি নীচে নেমে যাওয়ায় উত্তরপাড়া, বাঁশবেড়িয়া ও চুঁচুড়া শহরে পানীয় জল সরবরাহে সমস্যার কথা দিন কয়েক আগেই সামনে এসেছিল। এ বার একই সমস্যার মুখে পড়ল চন্দননগরও। পুরসভার জলপ্রকল্পে প্রয়োজনীয় জল তুলতে জোয়ারের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শিল্পশহর ডানকুনির পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। পুরবাসীকে জল দিতে সেখানে মাটির নীচে আরও পাম্প বসানো হচ্ছে।

Advertisement

হুগলি-চুঁচুড়া ও চন্দননগর পুরসভায় জলের জোগান নিয়ে চিন্তায় পুরকর্তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠাতে হচ্ছে।

হুগলি-চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভার যৌথ ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগে কেএমডিএ গঙ্গার জল শোধন করে পানীয় জলের একটি বড় প্রকল্প তৈরি করে বাঁশবেড়িয়ায়। ওই প্রকল্পের ৬০ শতাংশ জল পায় ৩০ ওয়ার্ডের হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা। এ ছাড়াও পুরসভার নিজস্ব ১০০টি নিজস্ব ডিপ-টিউবওয়েল রয়েছে। কিন্তু তাতেও এখন কুলনো যাচ্ছে না।

Advertisement

শনিবার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যান্ডেল চার্চ এলাকায় এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালির মোড় লাগোয়া এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দেয়। পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। পুরপ্রধান অমিত রায় জানান, বাঁশবেড়িয়ার প্রকল্প থেকে জলের জোগান কম আসছে। তার উপরে পুরসভার নিজস্ব ডিপটিউবওয়েলগুলি পুরনো হওয়ায় কার্যক্ষমতা কমেছে। জলস্তর নেমে যাওয়ায় কয়েকটি অকেজো হয়ে গিয়েছে। নতুন করে পাম্প বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

৩৩ ওয়ার্ডের চন্দননগর পুরসভায় গোন্দলপাড়া এবং গোস্বামীঘাটে গঙ্গার জল পরিশুদ্ধ করে পানীয় জল তৈরির দু’টি প্রকল্প রয়েছে। এ ছাড়াও পুরসভার নিজস্ব ৫৬টির মধ্যে ৫৩টি ডিপ-টিউবওয়েল চালু রয়েছে। তাতেও জলের সরবরাহ ঠিক রাখতে ঘুম উবেছে পুরকর্তাদের। ৯ নম্বর ওয়ার্ড, ৩০ নম্বর ওর্য়াডের বিলকুলি এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুই জায়গাতেই পুরসভার জলের গাড়ি পাঠাতে হচ্ছে।

মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি। ভূগর্ভস্থ জলস্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তার ফলে পুরসভার নিজস্ব সব পাম্প কাজ করছে না। তবুও আমরা সচেষ্ট থেকে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছি।’’

ডানকুনি পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডেই কমবেশি জলের সমস্যা রয়েছে। পুরসভার নিজস্ব ২৮টি পাম্প রয়েছে। কিন্তু জলস্তর নেমে যাওয়ায় বেকায়দায় পুর-কর্তৃপক্ষ। জরুরি ভিত্তিতে আরও ১০টি পাম্প বসানো হচ্ছে। উপ-পুরপ্রধান প্রকাশ রাহা বলেন, ‘‘জলের সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। উত্তরপাড়ায় নতুন জলপ্রকল্প থেকে আমাদের শহরে জল সরবরাহের জন্য পাইপ বসিয়ে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আগামিদিনে আমরা ওই জল পেতে শুরু করলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে
আশা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement