রঙের ছোঁয়া: বন্ধুর গালে রঙ লাগাতে ব্যস্ত খুদে। আরামবাগে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডিজে বাজা কার্যত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে হুগলি জেলায়। নাগরিক আন্দোলনের চাপে ইদানীং অনেক ক্ষেত্রেই ডিজে বক্স বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। মঙ্গল ও বুধবার রঙের উৎসবেও এই জেলায় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ডিজের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়েছেন। সেই খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে শব্দের দাপট বন্ধ করা হলেও বন্ধ বাজেয়াপ্ত করার খবর মেলেনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উত্তরপাড়া কলেজ বাসস্টপের কাছে জিটি রোডের ধারে প্রচণ্ড শব্দে বক্স বেজেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তীব্র আওয়াজে বয়স্কেরা কষ্ট পেয়েছেন। বাজি ও ডিজেবিরোধী মঞ্চের তরফে বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়। পুরপ্রধান দিলীপ যাদবের মধ্যস্থতায় পুলিশ বক্স বন্ধেউদ্যোগী হয়।
এলাকার বাসিন্দা শীলা চক্রবর্তীর বয়স আশি ছুঁইছুঁই। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তারস্বরে বক্স বাজানো শুরু হয়। ভেবেছিলাম, কিছুক্ষণের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। তেমনটা হয়নি। খুব অস্থির লাগছিল। শব্দ বন্ধ হল রাত ১২টা নাগাদ। থানা থেকে এই জায়গায় দূরত্ব সিকি কিলোমিটার।’’ পুলিশের দাবি, বক্স বাজার অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তা বন্ধে সচেষ্ট হয়। একটি ফ্ল্যাটের মধ্যে বক্স বাজানো হচ্ছিল। জায়গাটি খুঁজে পেতে দেরি হয়েছে। পুরপ্রধানের সাহায্য নিয়ে ঠিকানা খুঁজে বের করা হয়। তারপরেই দ্রুত বক্স বন্ধ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে হোলিতে শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলের কাছে তারস্বরে ডিজে বক্স বাজছিল বলে অভিযোগ। ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় বাবুবাজারে প্রচণ্ড জোরে লাউডস্পিকার এবং ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছিল। দু’টি ক্ষেত্রেই বাজি ও ডিজেবিরোধী মঞ্চের তরফে সংশ্লিষ্ট থানা এবং প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ বক্স বন্ধের ব্যবস্থা করে।
মঙ্গলবার দোলে বলাগড় ব্লকের চরকৃষ্ণবাটীতে এক সঙ্গে অনেকগুলি ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খবর পৌঁছয় বিডিও নীলাদ্রি সরকারের কাছে। তিনি দ্রুত পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বক্সের তাণ্ডব বন্ধ হয়।