কেন্দ্রীয় স্কুলে ভর্তির জন্য বিজেপি-র দফতরে লটারির আয়োজন। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগে দুর্নীতি মামলার আবহে দলীয় দফতরে বসে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য লটারির আয়োজন করে বিতর্কে জড়ালেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ওই ঘটনাকে ঘিরে দলবাজির অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন লকেট।
হুগলির ব্যান্ডেল রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাংসদের কোটা রয়েছে ১০টি। সেই কোটার আসনে ভর্তি হওয়ার জন্য মঙ্গল বার লটারির আয়োজন করা হয় হুগলিতে বিজেপি-র দলীয় দফতরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লকেটও। আর তা নিয়েই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের কথায়, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় যে দলের সাংসদ সেই দল সংবিধান মানে না। তাই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এর বাইরে কিছু আশা করা যায় না। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে কে ভর্তি হবে বা হবে না সেটা উনি বিজেপি অফিসে বসে ঠিক করছেন। এটা মানুষের কাছে যন্ত্রণার।’’
যদিও লকেটের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাংসদের ১০টি কোটা আছে। তাই লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। এ বার ৪০০ থেকে ৫০০ জন অনুরোধ করেছিলেন। তাই লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হল। বিজেপি স্বচ্ছতা বজায় রাখে। সকলকে ডেকেই লটারি হয়েছে। তৃণমূলের মতো চুরিচামারি করে হয়নি। নিরপেক্ষ ভাবে বিচার হয়েছে। আগেই আবেদন জমা নেওয়া হয়েছিল।’’ ওই লটারিতে অংশগ্রহণকারী এক অভিভাবক মৌসুমি ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি-র অফিসে কেন লটারির আয়োজন হল জানি না। স্থানীয় বিজেপি নেতা আমাকে বলেছিলেন এখানে আসতে।’’