নিজস্ব চিত্র।
দিন দুয়েক আগেই হুগলির তারকেশ্বরে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশু অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে এক মহিলা-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই একই ঘটনা এ বার হরিপালে। শনিবার মহেশ্বরপুরে ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে তারকেশ্বরের মির্জাপুর শিবতলা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে ছ’জনের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় গোটা জেলা জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ট্রাকে করে কাগজ কুড়োতে এসে দুই শিশুকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করার চেষ্টা করছিলেন ওই ছ’জন। স্থানীয়েরা তা দেখতে পেয়ে তাড়া করে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। শনিবার পশ্চিম গোপীনাথপুরের মহেশ্বর গ্রামেও একই ভাবে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ওই মহিলাও শিশুদের লজেন্স দিচ্ছিলেন। তা দেখে সন্দেহ হতেই তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মহিলার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঠিক ভাবে কোনও কথাই বলছিলেন না তিনি। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে এলাকার লোকজনের। ছেলেধরা সন্দেহ আরও এক মহিলার ধরার পড়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারকেশ্বরের ঘটনায় ওই কাগজ কুড়ানিদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা মাথায় রেখেই শনিবার হরিপাল থানার পুলিশ ওই মহিলাকে সোজা থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর বাড়ি কোথায় এবং কী উদ্দেশ্যে ওই গ্রামে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিনি, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।