Illegal Sand Mining

দামোদরের বালি পাচার চলছেই, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন দামোদরের বুকে বেশ কয়েকটি নৌকা ঘোরাফেরা করে। অভিযোগ, প্রতিটি নৌকায় থাকা ৪-৫ জন যুবক বালতি নিয়ে নৌকায় বালি তোলেন।

Advertisement

সুব্রত জানা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৩
Share:

উলুবেড়িয়া ১ ব্লকে বোয়ালিয়ার কাছে দামোদর থেকে তোলা হচ্ছে বালি।

কোথাও চলছে চর থেকে মাটি কাটা। আবার কোথাও বালি তোলা। দামোদর নদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার বাড়িয়ে চলেছে এক শ্রেণির মানুষ। দিনের আলোয় বৈধ অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যেই দামোদর নদ থেকে বালি তুলে পাচার চলছে বলে অভিযোগ উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের গদাইপুর, বোয়ালিয়া ও শ্যামপুর-২ ব্লকের বারগ্রাম পঞ্চায়েতের বারগড়চুমুকে। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, নদের পাড় থেকে ক্রমশ বালি তোলায় বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে বিপত্তি বাড়বে।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন দামোদরের বুকে বেশ কয়েকটি নৌকা ঘোরাফেরা করে। অভিযোগ, প্রতিটি নৌকায় থাকা ৪-৫ জন যুবক বালতি নিয়ে নৌকায় বালি তোলেন। সেই বালি দামোদরের পাড়ে ছোট ছোট স্তূপে জড়ো করা হয়। পরে ছোট তিন বা চার চাকা গাড়িতে সেই বালি বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়। আবার দামোদর সংলগ্নইটভাটাগুলোর বিরদ্ধে মেশিন লাগিয়ে চর থেকে মাটি কাটার অভিযোগও উঠেছে।

গদাইপুরের এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘কিছুদিন আগেও রাতে নৌকায় যন্ত্র লাগিয়ে বালি চুরি চলত। তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও দিনের বেলা বালি তোলাহচ্ছে।’’ অন্য এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘কিছু বলতে গেলে বলা হয়, গরিব মানুষ নৌকায় করে মাটি তুলছে, তাতে আর কী হবে।কিন্তু এর পিছনে বড়মাথা আছে। তারাই এই গরিবদের দিয়ে বালি তুলিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে।’’ এর ফলে নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে যে কোনও সময় ধস নামতে বলে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই এই অবৈধ কাজ চলে। পুলিশের সঙ্গে বালি কারবারিদের যোগাযোগ আছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণউদয় পালচৌধুরী বলেন, ‘‘সারা রাজ্য জুড়ে শুধু বালি নয়, কয়লা-গরু-ঘর-শিক্ষাব্যবস্থা সবেতেই চুরি চালাচ্ছে শাসকদল। তার ফল ভুগছেনসাধারণ মানুষ।’’

অভিযোগ উড়িয়ে উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের হাটগাছা-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান প্রদীপ পাল বলেন, ‘‘আগে নদ থেকে বালি তোলার অনেক অভিযোগ আসছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদি সেটা এখনও চলে, সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

উলুবেড়িয়া-১-এর বিডিও হাদিউর জামাল মহম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ‘‘নতুন দায়িত্ব পেয়েছি, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ তবে সেচ দফতরের দাবি, তাদের কাছে বালি চুরি বা চর থেকে মাটিকাটার কোনও অভিযোগ নেই। হাওড়া জেলা সেচদফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement