Duare Doctor

হাসপাতালের কাছেই ‘দুয়ারে ডাক্তার’ শিবিরে প্রশ্ন

এই কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে হাওড়া জেলার একমাত্র দ্বীপাঞ্চল ঘোড়াবেড়িয়া, ভাটরা, চিৎনান। সেখানে প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। আমতা কেন্দ্রে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আমতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৯:২১
Share:

চলছে শিবির। বৃহস্পতিবার বিবি ধর হাসপাতালের কাছেই। নিজস্ব চিত্র

গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ১০০ মিটার দূরে বুধ ও বৃহস্পতিবার— দু’দিন ধরে চলল ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচি। আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের আমতা-২ ব্লকে জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজে এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, আমতা বহু দুর্গম এলাকা রয়েছে। সেখানে শিবির না করে জয়পুর বিবিধর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ১০০ মিটার দূরে এই শিবিরের যথার্থতা কী?

Advertisement

আমতা-২-এর বিডিও মাসাদুর রহমানের দাবি, ‘‘‘দুয়ারে ডাক্তার’ করতে গেলে কমপক্ষে ১৬ টি ঘরের প্রয়োজন। সেটা আমতা কেন্দ্রের কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই কলেজে করতে হয়েছে। মানুষ এখানে বেশ কয়েকটি বিষয়ে চিকিৎসার সুযোগ পেলেন। হাসপাতালের কাছে বা দূরে হওয়াটা কোনও বিষয় নয়।’’

আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাণকেন্দ্র জয়পুর। এখানে রয়েছে কলেজ, থানা, বিডিও অফিস ও গ্রামীণ হাসপাতাল। এই কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে হাওড়া জেলার একমাত্র দ্বীপাঞ্চল ঘোড়াবেড়িয়া, ভাটরা, চিৎনান। সেখানে প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। আমতা কেন্দ্রে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের হাসপাতাল বলতে জয়পুর বিবিধর হাসপাতাল।

Advertisement

ভাটোয়ারার এক প্রবীণ ব্যক্তির ক্ষোভ, ‘‘দীপাঞ্চলে বাস করি। বাঁশের সাঁকো ভাঙলে হাসপাতালে কী ভাবে পৌঁছব, বুঝতে পারি না। আমাদের এখানে তো শিবিরটা করা যেত! যেদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে কলকাতার ডাক্তাররা চিকিৎসা করবেন, শুনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ওই হাসপাতালের সামনে শিবির করে আমাদের কী লাভ হল?’’ কুলিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ওখানে গেলে শিবিরে কেন যাব? হাসপাতালেই তো ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসতে পারতাম। গ্রামে গ্রামে ওই শিবির হলে ভাল হত!’’

আমতা কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ ওই শিবিরে কী ভাবে যাবে, সেটা সরকার ভেবে দেখল না? শাসক দলের নেতাদের চিন্তাভাবনার অভাব আছে। তাঁরা ঠিক জায়গা নির্বাচন করতে পারেননি বলেই মানুষের ক্ষোভ জন্মাচ্ছে।’’

আমতা-২-এর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলুয়ার হোসেন মিদ্দার অবশ্য দাবি, ‘‘ প্রথমে গ্রামে ওই কর্মসূচি করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকাঠামো না পাওয়ায় জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজে করতে হয়েছে। তাছাড়া যে সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মানুষ চিকিৎসা করাতে চায় তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে কোন মানুষের কোনও সমস্যা হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement