পুকুর ভরাটের অভিযোগ। আরামবাগের অর্জুন পাড়া এলাকায়।
ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি জলাশয়ের পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমা হচ্ছিল ছাই।শনিবার সকালে আরামবাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অর্জুনপাড়ার বাসিন্দারা দেখলেন, সেই জলাশয়ের একাংশ রাতারাতি বুজেছে ছাইয়ে। তা নিয়ে স্থানীয়রা বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালেন। পৃথক ভাবে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপিও।
সমস্ত বিষয়টি নিয়ে ব্লক ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও মেলেনি। পুকুরের মালিকানা এবং ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানায় মজে যাওয়া ডোবাটি সংস্কারের জন্য মালিক শেখ আব্দুল রহিম, রাকিব ভাই এবং ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুর-প্রতিনিধি শেখ সুকুর আলির কাছে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি ডোবার পাড়ে চালকলের চাই মজুত রাখা হচ্ছিল। রহিমরা জানিয়েছিলেন, রাস্তার ধস রুখতে তা রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে বিরক্ত এলাকার বাসিন্দারা। শেখ বাদশা, নাগিনা বিবি নামে দুই বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘আগে ওই ডোবায় মাছচাষ হত। ওই ডোবার জল আমরা ব্যবহারও করতাম। সেটা সংস্কারের বদলে বুজিয়ে দেওয়া হল কেন?’’
ডোবা বোজানো নিয়ে শনিবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুরসভার একামাত্র বিরোধী পুর-প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতাদের মদতেই শহরের সমস্ত জলাশয়গুলি অন্যায় ভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমি পাশের ওয়ার্ডে থেকে সব জানলাম, আর এই ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি কিছু জানেন না। এটা হতে পারে?’’ তিনি জানান, বিষয়টা ব্লক ভূমি দফতরে মৌখিক জানিয়েছেন। সোমবার লিখিত দেবেন। পাশাপাশি জানানো হবে ডোবা পুনরুদ্ধারের দাবিও।
পুর-প্রতিনিধি তৃণমূলের শেখ সুকুর আলি বলেন, “জলশায় ভরাটে আমার বা দলের কোনও মদত নেই। বরং ছাই মজুত রাখা দেখে মালিকদের সতর্ক করেছিলাম যাতে কোনওভাবে ডোবা ভরাটের চেষ্টা না হয়। রাতের অন্ধকারে দু’ট্রাক্টর ছাই ফেলা হয়েছে। সেটা তুলে ডোবাটি সংস্কারের জন্য বলা হবে।”
জলাশয়টির মালিক ভাইদের মধ্যে শেখ আব্দুল রহিমের দাবি, “বছর কয়েক আগেই ডোবাটি স্থানীয় আদিবাসীদের বিক্রি করে দিয়েছি আমরা। ডোবা ভরাটের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।” আদিবাসীরা অবশ্য ডোবা কেনার কথা মানেননি।