উলুবেড়িয়া আদালতের বার কাউন্সিল দখল করল বাম-বিজেপি জোট। নিজস্ব ছবি।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে হারের পর আরও এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে হল শাসকদলকে। তবে এ বার বিরোধী জোট হয়েছে রাম-বামের মধ্যে। উলুবেড়িয়া আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন দখল করল বাম-বিজেপি জোট। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হলেন জোট সমর্থিত প্রার্থীরা। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোট দেখা গিয়েছে। নন্দকুমারের সমবায়ে সেই জোট জেতার পরে তার নামও হয় ‘নন্দকুমার মডেল’। উলুবেড়িয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও তারই প্রভাব দেখা গেল।
গত শনিবার বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোট হয়। সেই নির্বাচনে বাম ও বিজেপি জোট করে ‘বার বাঁচাও কমিটি’ তৈরি করে। সোমবার ফলঘোষণার পর দেখা যায়, জোট সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ১১টি আসনে। আর তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৭টি আসনে। প্রসঙ্গত, আগে শাসকদলের দখলেই ছিল এই বার অ্যাসোসিয়েশন। গত বার বিরোধীরা জিতেছিলেন মাত্র ২টি আসনে। নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষের আইনজীবী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রভাব পড়েছে মনে হয়। এ ছাড়া বিরোধীদের জোট যে ঐক্যবদ্ধ হবে, সেটা নেতৃত্ব আঁচ করতে পারেননি। যে কারণে এই ফলাফল।’’
গত ৯ নভেম্বর নন্দকুমারের ‘বহরমপুর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’-এর নির্বাচনে ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল বাম-বিজেপি জোট। ৬৩টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূলকে পরাস্ত করে নজির গড়েছিল তারা। তবে যেখানে রাম-বাম জোট হয়েছে, সেখানেই যে শাসকদল হেরেছে, তা অবশ্য নয়। অধিকাংশ সমবায় নির্বাচনেই এই জোট ধরাশায়ী হয়েছে। ভবিষ্যতে নিচুতলায় যাতে এই ধরনের জোট না হয়, তা জন্য লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল সিপিএমের পক্ষ থেকে। তার পরেও উলুবেড়িয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে দেখা গেল বাম-বিজেপি জোট।