Rupnarayan River

Khanakul: রূপনারায়ণের বাঁধে ধস সামান্য বৃষ্টিতেই, উদ্বেগ

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত বছর বন্যার পর বাঁধের পলকা জায়গা যথাযথ ভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। যে সব জায়গা সংস্কার করা হয়েছে তার মানও ঠিক নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২২ ০৮:৫৩
Share:

ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েত এলাকার পোড়েপাড়ায় রূপনারায়ণ নদের বাঁধে ধস। 

বর্ষার মরসুম চললেও এখনও সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতেই খানাকুলের ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের পোড়েপাড়া সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের বাঁধে বড় ধস নেমেছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতির মুখে। একটু তফাতেই সদ্য সংস্কার করা করপাড়ার বাঁধেরও একদিক বসে গিয়েছে। দিনকয়েক আগে এই ধসের পরে সেচ দফতর থেকে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেলেও এখনও সংস্কারের কাজ শুরু না-হওয়ায় আতঙ্ক এবং উদ্বেগ ছড়িয়েছে ওই পঞ্চায়েতের কাগনান, ধান্যগোড়ি, ঘোড়াদহ, দৌলতচক-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত বছর বন্যার পর বাঁধের পলকা জায়গা যথাযথ ভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। যে সব জায়গা সংস্কার করা হয়েছে তার মানও ঠিক নয়। সেচ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। পুরোদমে বর্ষা শুরু হলে এবং রূপনারায়ণ ভরে উঠলে কী হবে, এ কথা ভেবেই আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ সানকি বলেন, “বাঁধের এই দশা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মানুষের ক্ষোভের কথা সেচ দফতরের নজরে এনে অবিলম্বে পোড়েপাড়া এবং করপাড়া বাঁধ সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। বাকি বাঁধের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে।”

Advertisement

বাঁধের দুর্বল জায়গা চিহ্নিতকরণে কোনও ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করেছেন জেলা সেচ দফতরের এগ্‌জ়িকিউকিভ ইঞ্জিনিয়ার তপন পাল। তিনি বলেন, “পোড়েপাড়ার বাঁধটি সংস্কারের জন্য দরপত্র ডেকে ওয়ার্ক-অর্ডারও দেওয়া হয়। ঠিকাদার কাজটা না-করায় সেই দরপত্র বাতিল হয়েছে। ফের দরপত্র ডেকে কাজটি দ্রুত করা হবে।” করপাড়ায় সংস্কার হওয়া বাঁধের একাংশ বসে যাওয়া নিয়ে তপনবাবু জানান, কাজটি এখনও শেষ হয়নি। কোথায় বসছে তা লক্ষ্য রেখে যথাযথ ভাবেই কাজ করা হবে।

গত বছর মাস দেড়েকের মধ্যে ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের মাইতিপাড়া, জেলাপাড়া এবং করপাড়ায় রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে তিন বার প্লাবিত হয়েছে খানাকুল-২ নম্বর চারটি পঞ্চায়েত এলাকা (ধান্যগোড়ি, জগৎপুর এবং রাজহাটি-১ ও ২)। খালি ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েত এলাকাতেই বেঘর হয়েছিল ৩৮টি পরিবার। দ্বিতীয় দফার বন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থপনায় সেনা এবং হেলিকপ্টারে উদ্ধার কাজ চালাতে হয়। জল নামতেই সেচ দফতরের তড়িঘড়ি বাঁধের ভাঙন এবং দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করে সংস্কারের কাজ নিয়ে আশাবাদী ছিলেন মানুষ। কিন্তু পোড়েপাড়ার বাঁধে ধস নামার পর ফের অন্যান্য বছরের মতোই বেঘর হওয়ার দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement