এই নির্মাণ নিয়েই উঠেছে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি খাসজমি পাট্টা পেয়ে বেআইনি ভাবে বিক্রি এবং গৃহ নির্মাণের অভিযোগ উঠল আরামবাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অর্জুনপাড়ায়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা দিন কয়েক আগে এ ব্যাপারে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন, আরামবাগ ব্লক ভূমি দফতর এবং পুর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। ভূমি দফতর তদন্ত করে ওই নির্মাণ বন্ধ করেছে।
ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিক শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘পাট্টার জমি বেআইনি বিক্রি এবং সেখানে অন্যের নির্মাণের প্রমাণ মিলেছে। পাট্টার জমি বিক্রি করা বা কেনা অবৈধ। যতটা নির্মাণকাজ হয়েছে সেটি ভাঙা বা পরবর্তী প্রশাসনিক পদক্ষেপের জন্য ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পাট্টার জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়। যে কারণে পাট্টা দেওয়া হয়, তার বাইরে অন্য কোনও কাজে সেই জমি ব্যবহার করাও যায় না।
অভিযোগকারীদের মধ্যে নাসির আলি খানের বক্তব্য, ‘‘অর্জুনপাড়ার খেলার মাঠের পাশে চাঁদুর মৌজার একটি খাসজমি কাঠাপিছু ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করছিলেন পাট্টাদারদের তিন বংশধর— শেখ আবউল রাকিব, আব্দুল রফিক ও আব্দুল সবুর। সরকারি পাট্টার জমি বেআইনি ভাবে বিক্রির প্রতিবাদ করেছি আমরা। প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছি, প্রয়োজনে পাট্টা বাতিল করে জমিটি যাতে সঠিক কাজে ব্যবহার করা হয়।’’
স্থানীয় পুরসদস্য (কাউন্সিলর) শেখ সাকির আলি বলেন, ‘‘আমাদের তরফেও বিষয়টি ভূমি দফতরে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।’’ তিনি জানান, জায়গাটির পাট্টা পেয়েছিলেন আব্দুল কেরিম এবং আব্দুল রেজা নামে দুই ভাই। তাঁদের ছেলে এবং নাতিরা তা বিক্রি করছেন বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্তদের তরফে আব্দুল সবুরের দাবি, ‘‘বিক্রির অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসন তদন্ত করছে।’’