Anganwadi Center Construction

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরিতে একশো দিনের শ্রমিকদের কাজ দেওয়ায় জোর

দু’বছর হতে চলল হুগলি-সহ রাজ্যের জেলাগুলিতে কেন্দ্র একশো দিনের কাজে টাকা পাঠানো বন্ধ করেছে।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরিতে একশো দিন কাজের প্রকল্পের শ্রমিকদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতর থেকে বুধবার এই নির্দেশিকা সমস্ত জেলাশাসকদের পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের তহবিলে নির্মাণ কাজগুলি একশো দিন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিতে হবে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার জবকার্ডধারী শ্রমিকদের নথি নির্দিষ্ট পোর্টালে (wbdeptemployment.in) নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। হুগলিতে সেই কাজ শুরু হয়েছে জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্লকের শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের (সিডিপিও) আধিকারিকেরা। এই দফতরের নির্মাণের আওতায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ভবঘুরে ভবন, চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট তথা হোম ইত্যাদি আছে।

দু’বছর হতে চলল হুগলি-সহ রাজ্যের জেলাগুলিতে কেন্দ্র একশো দিনের কাজে টাকা পাঠানো বন্ধ করেছে। বিকল্প কিছু কাজের ব্যবস্থা হলেও হুগলির অদক্ষ শ্রমিকেরা অধিকাংশই কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ আছে। ওই শ্রমিকদের বিকল্প কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলাগুলির ভূমিকাও সন্তোষজনক নয় বলে রাজ্যস্তর থেকেও একাধিকবার সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের পরিসর বিশেষ বাড়েনি বলে অভিযোগ। এ বার নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতরের নির্মাণগুলিতে বেশ কিছু কাজের সংস্থান হবে বলেই জেলা প্রশাসন মনে করছে।

Advertisement

প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “জেলায় জবকার্ডের তুলনায় সরকারি দফতরগুলিতে জবকার্ডধারী অদক্ষ শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্র কম। কেন্দ্র এবং রাজ্যের অর্থ কমিশনের কাজগুলিতেও তাঁদের লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়াও, জেলার ২৮টি দফতরে অদক্ষ শ্রমিকদের উপযোগী যখন যেমন কাজ থাকে, বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁদেরই তা দেওয়া হয়।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জবকার্ডের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৭৬। চলতি আর্থিক বছরে এ দিন পর্যন্ত মোট ২৮টি সরকারি দফতরের বিভিন্ন কাজে মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার শ্রমিক কাজ এবং মজুরি নিশ্চিত হয়েছে। মোট শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার। তবে রাজ্যে একশো দিন প্রকল্পের কাজে তহবিলের অনুপযুক্ত ব্যবহারের অভিযোগে ওই প্রকল্পের আইনের ২৭ নম্বর ধারা কার্যকর করে রাজ্যে সমস্ত কাজ এবং অর্থবরাদ্দ বন্ধ করা আছে। একশো দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ অবশ্য মানেননি শাসক দলের নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement