উদ্ধার হওয়া টাকা। (ইনসেটে) শৈলেশ পাণ্ডে। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার দু’টি জায়গা থেকে নগদ প্রায় আট কোটি টাকা এবং গয়না উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। লালবাজার জানিয়েছে, চার্জশিটে নাম রয়েছে শৈলেশএবং তার দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডের। এ ছাড়া, তাদের এক সহযোগী প্রসেনজিৎ দাসকে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই চার জন বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। বাকি ন’জন অভিযুক্তকে পলাতক হিসাবে দেখানো হয়েছে চার্জশিটে। তাদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে অবশ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
পুলিশি সূত্রের খবর, গত ১৯ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় শৈলেশ-সহ চার জনকে। তার ৯০ দিনের মাথায় এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে চার্জশিট জমা দিলেন তদন্তকারীরা। সেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসার জানান, মূল চার্জশিট ৭৮০ পাতার। তাতে সাক্ষী রয়েছেন ৪৫ জন। ঘটনার পরে ওড়িশা ও গুজরাতে গা-ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্তেরা। সেখান থেকে তাদের ধরা হয়।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে হাওড়ার শিবপুরে শৈলেশের ফ্ল্যাট এবং গাড়ি থেকে আট কোটি টাকা উদ্ধার করেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় সোনা, রুপো এবং হিরের গয়না।
পুলিশ জানিয়েছে, লগ্নি-অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারকেরা প্রায় ২০০ কোটি টাকার লেনদেন করেছিল। কয়েকশো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওই টাকা হাতবদল হয়েছিল। এ ছাড়া, ভিন্ রাজ্যেও জাল বিস্তার করেছিল অভিযুক্তেরা।