Chinsurah

মহালয়ার দিন থেকে রাত, বাজারে ফিরল চেনা ছবি

বিক্রি নিয়ে খুশি নন বৈদ্যবাটী, ভদ্রেশ্বর, শেওড়াফুলি, চাঁপদানি ও পান্ডুয়ার ব্যবসায়ীরা।   জিটি রোডের ধারে দোকানগুলি বিকেল পর্যন্ত ফাঁকা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া-চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৮
Share:

জমজমাট: পুজোর আগের শেষ রবিবার উপচে পড়া ভিড় উলুবেড়িয়ার একটি শপিং মল ও শ্রীরামপুর বাজারে। নিজস্ব চিত্র

একে রবিবার, তার উপর মহালয়া। সঙ্গে পাওনা ঝকঝকে আকাশ। পুজোর আগের শেষ রবিবার তাই কেনাকাটায় খামতি ছিল না হাওড়া ও হুগলির বাজারগুলিতে। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি, দরাদরির মধ্যেই ফিরে এল প্রাক-করোনা সময়ের সেই চেনা ছবি। চেনা মেজাজেই দেখা মিললক্রেতা-বিক্রেতার।

Advertisement

গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রীরামপুর মার্কেটে ভিড় হচ্ছিল ভাল। শ্রীরামপুর শহর ও তার লাগোয়া পিয়ারাপুর, রিষড়া, শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটী, চণ্ডীতলা, মশাট, ডানকুনি থেকে বহু মানুষ পুজোর বাজার সারতে এসেছিলেন এই মহকুমা শহরে। শনিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি কেনাকাটাকে কিছুটা দমিয়ে দিয়েছিল। তবে রবিবার বেলা যত গড়িয়েছে তত পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাজারে ভিড়। বিকেলের পর থেকে স্টেশন লাগোয়া রাস্তায় পা ফেলার জো ছিল না।

স্টেশন সংলগ্ন সুপার মার্কেটের এক ব্যবসায়ী দীপ ঠাকুরের কথায়, ‘‘সকাল থেকেই খদ্দের হয়েছে ভালই। এর আগের রবিবারও ভালই বেচাকেনা হয়েছিল।’’ মহিলাদের রেডিমেড পোশাক বিক্রেতা এক ব্যবসায়ী বলে‌ন, ‘‘পুজো আসতে কয়েকটা দিন বাকি। এই ক’দিন বৃষ্টি যেন বাজার মাটি না করে, এটাই চাইছি।’’ গত কয়েক বছর আগে শ্রীরামপুর উড়ালপুলের মাঝে সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়ায় সে দিক দিয়ে মার্কেটে আসার পথ বন্ধ। সে কারণে উড়ালপুল সংলগ্ন একটি অংশের দোকানে কাঙ্ক্ষিত ভিড় নেই বলে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ রয়েছে।

Advertisement

শুধু রবিবার বলেই নয়, এ বারের পুজোর বাজার আরামবাগের ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। শহরের পিসি সেন রোড, হাসপাতাল রোড, গৌরহাটি মোড়, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চত্বর-সহ লিঙ্ক রোডের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ জুড়ে রবিবাসরীয় বিকিকিনি ছিল জমজমাট। পাশাপাশি গোঘাটের কামারপুকুর, খানাকুলের রাজহাটি, বালিপুর, পুরশুড়ার সোদপুর, খুশিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরাও খুশি।

হাওড়া গ্রামীণের বিভিন্ন বাজারেও ভিড় ছিল ভাল। যানজট এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উলবেড়িয়া শহরে বড় গাড়ি ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। উলুবেড়িয়ার এক পোশাক ব্যবসায়ী আকবর আলি বলেন, ‘‘গত দু’বছর ব্যবসা মন্দা হয়েছিল। এ বছর সেই ক্ষতির অনেকটাই পূরণ হয়ে গিয়েছে।’’ এলাকার শপিংমলগুলিতেও ভিড় ছিল ভাল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে বিক্রি আরও বাড়ার আশায় রয়েছেন তাঁরা।

তবে বিক্রি নিয়ে খুশি নন বৈদ্যবাটী, ভদ্রেশ্বর, শেওড়াফুলি, চাঁপদানি ও পান্ডুয়ার ব্যবসায়ীরা। জিটি রোডের ধারে দোকানগুলি বিকেল পর্যন্ত ফাঁকা ছিল। শেওড়াফুলি সুপার মার্কেটের রেডিমেড বিক্রেতা বাপি খন্দকার, বরুণকান্তি রায়ের ক্ষোভ, ‘‘অনলাইন কেনাকাটার ফলে বিক্রি কমছে। আগের দু’বছরের তুলনায় বিক্রি ভাল। তবে আরও বিক্রি হলে ভাল হত।’’ এই এলাকার ব্যবসায়ীদের মতে, অনলাইনের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কয়েক বছর ধরে পোষাক কেনার ক্ষেত্রে ভরসা রাখছেন শ্রীরামপুর বা কলকাতায়। সেটাও ব্যবসায় মন্দার অন্যতম কারণ। তবে পুজোর আগের শেষ কয়েকটা দিনে ব্যবসা বাড়বে বলেই আশাবাদী তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement