৬ মাস পর খুলল কেশোরাম রেয়ন। —নিজস্ব চিত্র।
ছ’মাস বন্ধ থাকার পর খুলল হুগলির কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানা। তবে শ্রমিকদের অবসরের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাতে সায় দিয়েছে কারখানার পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনও।
কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে চুক্তি হয়েছে। কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে জানা গিয়েছে সেই শর্তের কথা। শ্রমিকদের স্বেচ্ছাবসরের বয়স ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৩ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাবসরের সর্বোচ্চ বয়স ৫৭। কোনও শ্রমিক ৫৩ বছর বয়সে অবসর নিলে পাবেন ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে মিলবে কাউকে ‘নমিনি’ করার সুযোগ। অর্থাৎ ওই শ্রমিক মনে করলে নিজের বদলি হিসাবে কাউকে কারখানায় কাজ করার দায়িত্ব দিতে পারেন। সর্বোচ্চ বয়সের পর কোনও শ্রমিক পাবেন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও শ্রমিককে ‘নমিনি’ দেওয়া হবে না। ৫৩ বছরের নীচে কোনও শ্রমিক অবসর নিতে চাইলে তাঁকে ৭ লাখ টাকা এবং ‘নমিনি’ দেওয়া হবে। এমনটাই বৈঠকে ঠিক হয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে জানা গিয়েছে। কেশোরাম রেয়নের সিটু নেতা কুমুদরঞ্জন মালো বলেন, ‘‘এই কারখানা খুলেছে এটা আনন্দের বার্তা বলব না। তার কারণ আমাদের একটি নির্দিষ্ট অবস্থার প্রেক্ষিতে চুক্তি করতে হয়েছে। এটা সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়।’’
চলতি বছরের ২২ জুন বন্ধ হয়েছিল কেশোরাম রেয়ন কারখানা। তার পর থেকে কারখানার বাইরে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছিল শ্রমিক সংগঠনগুলি। সেই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কারখানা কর্তপক্ষ শর্ত দেন, যে সব স্থায়ী শ্রমিকের বয়স ৪৫ পেরিয়েছে তাঁদের স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে, না হলে কারখানা খুলবে না। স্বেচ্ছাবসর কালে কেবলমাত্র এককালীন ৩ লাখ টাকা শ্রমিকদের দেওয়া হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া আর কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়। ওই শর্ত অবশ্য মানতে চায়নি শ্রমিক সংগঠনগুলি।