এই নির্মাণ নিয়েই আদালতের নির্দেশ উপেক্ষার অভিযোগ উঠেছে চন্দননগরে। নিজস্ব চিত্র।
চন্দননগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পুকুর বুজিয়ে নির্মাণের বিরুদ্ধে এক বছর আগে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ উপেক্ষা এবং সেখানে ফের নির্মাণের অভিযোগ তুলল চন্দননগর আইন সহায়তা কেন্দ্র।
ওই কেন্দ্রের কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটি পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ হচ্ছিল। আদালত এর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু তা পালন করা হয়নি। সেখানে নির্মাণ যথারীতি চলছে। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন তা কার্যকর করা হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট সব দফতরের নজরে বিষয়টি
ফের এনেছি।’’
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোন নির্মাণের প্রসঙ্গে ওঁরা বলছেন, খোঁজ নেব। আদালতের নির্দেশের বাইরে কেউ নন। নিশ্চিত ভাবেই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হবে।’’
আগে স্থানীয় লোকজন পুকুর বুজিয়ে নির্মাণের বিষয়টি পুর প্রশাসনের নজরে এনেছিলেন। তাতে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। তখন তাঁরা আইন সহায়তা কেন্দ্রে যান। পুকুরটি বাঁচাতে ওই সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত বছরের ১৮ এপ্রিল ওই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় চন্দননগর পুরসভাকে। সেই নির্দেশই উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আদালতের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, যে জমির চরিত্র বদল করে নির্মাণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। তার পরে যে বা যাঁরা ওই কাজে যুক্ত, তাঁদের রাজ্যের ভূমি সংস্কার আইনের অন্তর্গত মৎস্য আইন অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করতে হবে। তদন্ত চলাকালীন ওই জমিতে কোনও নির্মাণ করা চলবে না।