প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রী এবং সৎ মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। এই ঘটনা হুগলির কামারপুকুরের। দরজা ভেঙে ঘর থেকে রক্তাক্ত দেহ দু’টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় মৃণাল দত্ত নামে ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে আরামবাগ হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারপুকুরের মধুবাটি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে মৃণাল নামে ওই যুবকের সঙ্গে থাকতেন শিল্পা দত্ত (২৬)। সঙ্গে থাকত শিল্পার প্রথম পক্ষের মেয়ে অদ্রিজাও। শিল্পা গোঘাটের বাসিন্দা। নদিয়ার বাসিন্দা মৃণাল দত্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে অদ্রিজার গৃহশিক্ষিকা পড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে যান তিনি। ফের বেলা ১০টা নাগাদ অদ্রিজার স্কুলের পুলকারের চালকও ডাকাডাকি করে ফিরে যান। দরজা দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এর পর তাঁরা শিল্পার বাড়িতে খবর দেন। গোঘাট থানার পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন শিল্পা এবং অদ্রিজা। পাশে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে মৃণাল।
এ নিয়ে হুগলি (গ্রামীণ)-র পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামী তাঁর স্ত্রী এবং সৎমেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মৃতের আত্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোঘাট থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।’’