এই দোকান থেকেই চুরি হয়েছে সোনা। নিজস্ব চিত্র।
ঘরে-বাইরে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। চারপাশে শক্তপোক্ত নিশ্চিন্ত দেওয়াল। কিন্তু নিরাপত্তার সেই ঘেরাটোপ থেকেই উধাও হয়ে গেল ৩ কেজি সোনা এবং নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা। এমনটাই অভিযোগ হুগলির ব্যান্ডেলের অলঙ্কার ব্যবসায়ী মানস সোনির। পুলিশ এই চুরির তদন্ত শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো নিজের দোকান খুলেছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা রমেশ। ব্যান্ডেল স্টেশন রোডে তাঁর আলমারির দোকান। দোকান খুলেই চমকে ওঠেন তিনি। তাঁর নজরে আসে তাঁর দোকানের এক পাশের দেওয়ালে বড়সড় গর্ত করা হয়েছে। সেই গর্ত দিয়ে অনায়াসে ঢুকে যাওয়া যাবে পাশেই অবস্থিত মানসের সোনার দোকানে। তিনি এ-ও দেখতে পান, তাঁর দোকানের ছাউনির টিন খোলা। রমেশ বলছেন, ‘‘দোকান খুলে প্রথমে দেখি দেওয়ালে গর্ত। সেই গর্ত দিয়ে চোর সোনার দোকানে ঢুকেছে। পরে দেখি আমার দোকানের ছাউনির টিনও খোলা। তার পর ওই দোকানের মালিককে খবর দিলাম। তবে চোর আমার দোকানের মালপত্র চুরি করেনি।’’
সোনার দোকানের মালিক মানসের অভিযোগ, ‘‘সকালে এসে দেখলাম, চোর দোকান পুরো খালি করে দিয়েছে। ৩ কেজি সোনা এবং আলমারি ভেঙে নগদ ৫ লক্ষ টাকা চুরি করেছে। সোনা গিয়েছে প্রায় দেড় থেকে দু’কোটি টাকার। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।’’
চারপাশে নিশ্চিন্ত দেওয়াল। অথচ বলিউডি ছায়াছবির কায়দায় সেই দেওয়াল ভেঙেই লুঠ সোনা এবং টাকা। এমন চুরির ইতিহাস স্মরণে আনতে পারছেন না তদন্তকারীরাও। ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শের আলি খান বলেন, ‘‘এই রাস্তায় সব সময় আমাদের নজরদারি রয়েছে। তার পরেও কী ভাবে চুরি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা খতিয়ে দেখছি। তা খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে। দোকান মালিক যে দাবি করছেন তা-ও আমরা খতিয়ে দেখবে। দোকানের স্টক লিস্ট আমরা মিলিয়ে নেব।’’
ব্যান্ডেল স্টেশন রোড ব্যস্ত রাস্তা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আশপাশের লোকজনের নজর এড়াতেই অভিনব কায়দায় পাশের দোকানে ঢুকে সিঁদ কেটে লুঠপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।