হাওড়ায় জলমগ্ন রেললাইন। —নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত হাওড়া থেকে ট্রেন পরিষেবা। জল জমেছে টিকিয়াপাড়া ইয়ার্ড এবং হাওড়া কারশেডে। তার জেরে অনেক জায়গাতেই রেললাইন জলের তলায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রেন বাতিল হয়নি। আবার জল জমেছে হাওড়া শহরের একাধিক ওয়ার্ডেও।
প্রবল বৃষ্টির জেরে টিকিয়াপাড়া ইয়ার্ডে জল জমেছে। হাওড়া কারশেডের কাছেও জল জমেছে। কয়েকটি জাগয়ায় রেললাইন জলের তলায়। যার জেরে সিগন্যাল ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে। ফলে হাওড়া স্টেশনে ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ট্রেনগুলির। কয়েকটি ট্রেন বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়েও থাকে। স্টেশনে ট্রেন দেরিতে ঢোকায় দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কোনও ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল হয়নি বলেই রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে হাওড়া থেকে জব্বলপুরগামী এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় বদল করা হয়েছে। অন্য দিকে, জলের কারণে সাঁতরাগাছিতে ৪টি ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে— যশবন্তপুর-হাওড়া, সেকন্দরাবাদ-হাওড়া, তিরুপতি-হাওড়া এবং তিতলিগড়-হাওড়া। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীরজ কুমার এমনটাই জানিয়েছেন।
হাওড়া শহরের পরিস্থিতিও তথৈবচ। সব চেয়ে বেশি জল জমেছে শহরের ১২টি ওয়ার্ডে। কোথাও জল কোমর সমান। আবার কোথাও জল হাঁটু পর্যন্ত। জল জমেছে শহরের পঞ্চাননতলা রোড, রামচরণ শেঠ রোড, ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস রোড-সহ কয়েকটি রাস্তায়। প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তরও বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে হাওড়া ফেরিঘাটের জেটির নীচের দুটো ধাপ ডুবে যায় এক সময়। হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গঙ্গার জল যাতে উপচে শহরে না ঢুকে পড়ে সে জন্য লকগেটগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নিকাশির জন্য ২৫টি পাম্প চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত কিছু পাম্পও চালানো হচ্ছে।’’