টাকা উদ্ধারের পরে আদালতের নির্দেশ মতো তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। —প্রতীকী চিত্র।
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের সাইবার থানা একাধিক জালিয়াতির অভিযোগের কিনারা করে সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মোট অভিযোগের সংখ্যা ছ’টি। তার মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রে উদ্ধার হয়েছে মোট ১৫ লক্ষ টাকা। সব ক্ষেত্রেই মোবাইলে আসা ওটিপি জানিয়ে টাকা খুইয়েছিলেন অভিযোগকারীরা। সব টাকা উদ্ধারের পরে আদালতের নির্দেশ মতো তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে, কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জন অ্যালেন জর্জ বলেন, ‘‘মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। তবেই এই ধরনের অপরাধ কমানো যাবে।’’
পুলিশ জানায়, এর মধ্যে ‘কেওয়াইসি আপডেট’ করার নামে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা জালিয়াতির ঘটনা রয়েছে। অভিযোগকারীরব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য এবং ওটিপি জেনে নিয়েতাঁর জমানো টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। সেই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা পুলিশ উদ্ধার করেছে রাজস্থানের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তিকে বলা হয় কয়েক মাসের মধ্যেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সেই ফাঁদে পড়ে ওই ব্যক্তি ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা রাজস্থানের ওই অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেন। পরে বুঝতে পারেন, তিনি জালিয়াতদের খপ্পরে পড়েছেন।
পুলিশ জানায়, একটি ক্ষেত্রে অভিযোগকারীকে ফোনে বলা হয়েছিল, ক্যুরিয়রে জিনিসপত্র এসেছে। কিন্তু তিনি তা নিতে রাজি হননি। তখন বলা হয়, ফোনে যাওয়া ওটিপি জানাতে। তা হলে ক্যুরিয়রের ‘অর্ডার’ বাতিল হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওটিপি জানাতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা উধাও হয়ে যায়। এমন ঘটনাআরও রয়েছে।