নিজস্ব চিত্র
এমএ পাশ করা চোর পুলিশের জালে। আসানসোলের বাসিন্দা সৌমাল্য চৌধুরীর চুরি করাই নেশা ও পেশা। ছেলের কুকীর্তির বদনাম সইতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন মা, তবু স্বভাব যায়নি। চুরি চালিয়ে গিয়েছে ‘গুণধর’ ছেলে। শেষ পর্যন্ত হাওড়ায় গয়না চুরির ঘটনার সূত্র ধরে এই ‘উচ্চশিক্ষিত’ চোরকেই গ্রেফতার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ। সঙ্গে তার দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দশ লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। আসানসোল, হাওড়া ও হুগলি জেলার ২০টি চুরির ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে সৌমাল্যর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমাল্য চৌধুরী ইংরেজিতে স্নাতোকত্তর পাশ করেছে। কিন্তু চুরি করাই তার নেশা। পরে এটিকে পেশা হিসেবেই বেছে নেয় সে। আসানসোল, হাওড়া, হুগলি জেলায় কম পক্ষে ২০টি চুরির ঘটনায় সে যুক্ত। তার বাবা সরকারি আধিকারিক ছিলেন। মা ছিলেন শিক্ষিকা। ছেলের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে আত্মঘাতী হন মা। এতেও শোধরায়নি সৌমাল্য। চুরি করাকেই পেশা করে নেয়। এর আগে একবার গ্রেফতারও হয়েছিল সে।
গত জুন মাসে হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় দশ ভরি সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দেয় সৌমাল্য। চুরি করে স্কুটিতে পালাবার সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক স্কুটির নম্বর লিখে নেন। এই নম্বরের সূত্র ধরেই পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী ও তার এক সাগরেদ প্রকাশ শাসমলকে। এর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও এক অভিযুক্ত মাধব সামন্তকে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাকরিয়া জানান, ‘‘মাধব সামন্তকে চুরির মাল বিক্রি করেছিল এরা। হাওড়াতে বিভিন্ন এলাকায় ন’টি চুরির সঙ্গে এরা যুক্ত।’’ এদের রবিবার হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।