নিহতের স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
রেলকর্মীর মাথা কেটে খুনের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রেলকর্মী সুরেশ সাউ মেয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় এ কথা জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী রাজেশ্বরী সাউ। সুরেশকে খুনের অভিযোগে রাজেশ্বরী-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দশমীর দিন ডোমজুড় থেকে সুরেশের বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। শনিবার তাঁর কাটা মাথা পাওয়া যায় সলপ থেকে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুরেশ রাজেশ্বরীর দ্বিতীয় স্বামী। রাজেশ্বরী আদতে বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা। তাঁদের দু’জনের বছর এগারোর এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। পুলিশের দাবি, রাজেশ্বরী পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, সুরেশ মেয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ চরমে ওঠে। রাজেশ্বরী জানিয়েছেন, এই কারণেই মেয়েকে নিয়ে মাস তিনেক আগে তিনি বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, সুরেশের এ হেন আচরণ মেনে নিতে পারেননি তিনি। মেয়ের সম্মান রক্ষা করতেই তিনি স্বামীকে খুনের ছক কষেন বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন রাজেশ্বরী। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুরেশের একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়েও ‘বিরক্ত’ ছিলেন রাজেশ্বরী।
পুলিশ রাজেশ্বরী ছাড়াও, সুরেশের শ্যালিকার ছেলে জে শেখর এবং স্বপন সাঁতরা ওরফে মিঠুন নামে এক গ্যারাজ মালিককে গ্রেফতার করেছে। জেরায় ধৃতেরা দাবি করেছেন, সুরেশের একটি দূরপাল্লার বাস রয়েছে। তার দেখভাল করতেন মিঠুন। সুরেশের একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী রাজেশ্বরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। দু’জনে আলাদা থাকতেন। সেই সময় রাজেশ্বরীর সঙ্গে মিঠুনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সুরেশের ওই দূরপাল্লার বাসের মালিকানা হাতে পেতেই তাঁকে খুনের ছক কষেছেন মিঠুন। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শেখরের বোনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সুরেশের। তার জেরে শেখরের বোন সন্তানসম্ভবাও হয়ে পড়েন। সেই আক্রোশ থেকে সুরেশকে খুনের পরিকল্পনায় শেখরও যোগ দেন বলে পুলিশের ধারণা। তবে ধৃতদের প্রত্যেকের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।