—প্রতীকী ছবি।
বেআইনি নির্মাণ রুখতে এ বার কড়া পদক্ষেপ করল হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার জন্য প্রোমোটারদের বার বার নোটিস পাঠানো হলেও তাঁরা তাতে কান না দিয়ে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এ-ও দেখা গিয়েছে, পুরসভার ভেঙে দেওয়া অংশ অনেকে আবার নতুন করে তৈরি করেছেন।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই প্রবণতা ঠেকাতে এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এমন কোনও অভিযোগ এলেই পুরসভা পুলিশের কাছে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করবে ও সেই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হবে। এ ব্যাপারে হাওড়া সিটি পুলিশ সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, গত দেড় বছরে প্রায় পাঁচ হাজার বেআইনি বাড়ির মধ্যে ১০০টি অবৈধ বাড়ি ভাঙা হয়েছে। কাজ বন্ধ করার ও বেআইনি অংশ ভাঙার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে আরও শতাধিক প্রোমোটারকে। হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, ওই প্রোমোটারেরা নোটিস পাওয়ার পরেও নিজেরা বেআইনি অংশ না ভাঙায় পুরসভা সেটি ভেঙে দিয়ে আসছে। অথচ পরে ওই ভাঙা অংশ মেরামত করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে ফ্ল্যাট। ক্রেতারা না বুঝে সেই ফ্ল্যাট কিনে ফেলছেন।
অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বন্ধ না করলে আগামী দিনে গোটা হাওড়া শহর ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন পুরসভার কর্মকর্তা-সহ ইঞ্জিনিয়ারেরাও। তাই পুর কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন, বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে নোটিস দেওয়ার পরেও নির্মাণকাজ চালালে বা পুরসভার ভেঙে দেওয়া অংশ ফের মেরামত করা হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। জামিন-অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে।
চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘এর আগে একাধিক বার প্রোমোটারদের বলেছি, পুরসভার অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বাড়ি করুন। অনেকেই তাতে গুরুত্ব দেননি। নাগরিকদের কাছে আবেদন, ফ্ল্যাট কিনতে হলে যাবতীয় কাগজপত্র দেখে কিনুন। নচেৎ ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’’