ফাইল চিত্র।
পুরসভার অনুমোদিত নকশা না-মেনে যে সমস্ত বাড়িতে বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত তিনটি তল তৈরি করা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এমন ১০০টি বাড়ি চিহ্নিত করে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া পুরসভা। এর জন্য ইতিমধ্যেই সাতটি ‘ডেমোলিশন স্কোয়াড’ তৈরি করা হয়েছে। এই কাজে কোনও প্রতিরোধ তৈরি হলে, তা সামলাতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে পুলিশের। পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বললেন, ‘‘সমস্ত বেআইনি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে। প্রথমে সেই সব বাড়ি ভাঙা হবে, যেখানে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত তেতলা তোলা হয়েছে। এর পরের পর্যায়ে চিহ্নিত করব অতিরিক্ত দু’টি তল থাকা বাড়ি। কাজটি সময়সাপেক্ষ, তাই ধাপে ধাপে হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরে হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে ঘুরে বেআইনি বাড়ির তালিকা প্রস্তুত করেছেন বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজার বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ১০০টি বাড়ি নিয়ম ভেঙে তেতলা বা বেশি বাড়ানো হয়েছে। পুর আইন মেনে ওই সব বাড়ির মালিক বা প্রোমোটারদের চিঠি দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে? সদুত্তর না পাওয়ায় বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলতে নোটিস দেওয়া হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে।
সুজয়বাবু জানান, পুর আধিকারিকদের বলে দেওয়া হয়েছে, বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে অন্য কারও ক্ষতি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মঙ্গলবার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের পি কে ব্যানার্জি রোডে একটি বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে যে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে পুর চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘পুর আইন মেনেই ওই বাড়ি ভাঙতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু মানুষ প্রতিরোধ করেন। তবে স্থানীয় হাওড়া থানা সব রকম ভাবে সাহায্য করেছে। বাড়ি ভাঙার কাজ করা গিয়েছে।’’
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রোমোটারেরা বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে অসম্পূর্ণ বেআইনি অংশে সাময়িক ভাবে লোকজন ঢুকিয়ে দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, সেখানে মানুষ বসবাস করছেন। তাই ভাঙা যাবে না। এ সব ক্ষেত্রে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘বেআইনি অংশে ওই ভাবে লোকজন বসিয়ে রাখার নিয়ম নেই। তাই সে দিন না ভেঙে কিছু দিন সময় দেওয়া হবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।