পরিদর্শন: হাওড়ার পি রোডে চলছে মশা দমন অভিযান। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
হাওড়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সোমবার সকাল থেকে শুরু হল পুর অভিযান। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান শুরু হতেই মিলল ডেঙ্গির মশার প্রচুর লার্ভা। লার্ভিসাইড তেল দিয়ে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দিল পুরসভার ডেঙ্গি দমন বাহিনী। এ দিনের ওই বিশেষ ডেঙ্গি দমন অভিযানে নেতৃত্ব দেন পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে জঞ্জাল অপসারণ দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা। পরে পুর চেয়ারপার্সন দাবি করেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গিয়েছে, এখনও বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পুরসভার স্বাস্থকর্মী ও সাফাই দফতরের কর্মীরা ভাল কাজ করছেন বলেও তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেটা ঠিক, তবে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত যত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তা ২০১৯ সালের থেকে বহু গুণ কম।
হাওড়ায় বর্তমানে ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখে বিশেষ বাহিনী গঠন করে আগামী ২০ দিন বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন পুরসভার চেয়ারপার্সন। এ দিন ৮, ৯ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে যেহেতু ডেঙ্গিতে পর পর দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাই অভিযান শুরু হয় সেখান থেকেই। পরে চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবর্জনা পরিষ্কার ও লার্ভিসাইড তেল দেওয়ার কাজ নিয়মিত হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে। এখনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে ড্রামে বা ভাঙা প্লাস্টিকের মধ্যে জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে।’’
পুরসভার এই বিশেষ দল এ দিন ৯ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডও পরিদর্শন করে। ৯ নম্বরে নটবর পাল রোডের কাছে পূর্ব রেলের লাইনের পাশে রেখে দেওয়া ড্রামে জমা জলের মধ্যে মশার প্রচুর লার্ভা দেখতে পেয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযান শেষে চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘ডেঙ্গির সঙ্গে লড়তে গেলে শুধু পুরসভার উপরে নির্ভর করলে হবে না, সাধারণ মানুষকেও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গি দমনে পুরসভা সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি, বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’