ফাইল চিত্র।
বালিকে বাদ দিয়ে হাওড়া পুরসভা এলাকার ৫০টি ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস করে ৬৬টি ওয়ার্ড করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই নির্দেশ আসার পরেই প্রায় চার বছর পরে হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের খসড়া প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ করার পরেই হাওড়ায় আর পুর নির্বাচনের সমস্যা থাকবে না বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসন ও পুরসভার আধিকারিকেরা।
হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিবাদের জেরে গত চার বছর ধরে হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই বিবাদের মধ্যেই গত বছর বালির ১৬টি ওয়ার্ড আলাদা করে সেখানে মুখ্য প্রশাসক হিসাবে হাওড়া সদরের মহকুমাশাসককে দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। বর্তমানে বালি পুরসভার কাজ হাওড়া পুরসভার থেকে আলাদা ভাবেই চলছে। কিন্তু দুই পুরসভাতেই নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় প্রতিনিয়ত যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তা সামলাতে কার্যত হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রশাসকমণ্ডলীকে। তবে অধিকাংশ ওয়ার্ডে প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বা কাউন্সিলরেরা এগিয়ে আসায় পরিষেবার কাজে বড় সমস্যা তৈরি হয়নি বলে দাবি পুর প্রশাসকদের।
এরই মধ্যে গত ১৮ তারিখ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব হাওড়ার জেলাশাসককে চিঠি লিখে জানান, বালির ১৬টি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে হাওড়া পুরসভা এলাকার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করে ৬৬টি করা হবে। নতুন যে ১৬টি ওয়ার্ড হবে, তা জনসংখ্যার ভিত্তিতে তৈরি করার খসড়া প্রস্তাব বানিয়ে অবিলম্বে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠাতে হবে।
মঙ্গলবার হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আগের রাজ্যপাল হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের ভোট একসঙ্গে করতে বলেছিলেন। তাই রাজ্যে সিদ্ধান্ত, হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ড বাড়িয়ে ৬৬টি করা হবে। বালিকে বাদ দিয়ে ভোট করতে আইনগত সমস্যা থাকবে না।’’