ফাইল চিত্র।
হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে সিপিএম নেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে খুনের অভিযোগ দায়ের করল তাঁর পরিবার। রবিবার রাতে মৃত সিপিএম নেতা সৌমেন কুণ্ডুর দাদা জয়দেব কুণ্ডু শালিমার রেল পুলিশে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ভাইকে কেউ খুন করে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়েছে। তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে এত দেরি হল কেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে জয়দেবের বক্তব্য, ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা এতটাই মুষড়ে পড়েছিলেন যে, অভিযোগ জানাতে এক সপ্তাহ লেগে গিয়েছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান শিবপুরের ছোট ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা, সিপিএমের শাখা কমিটির সম্পাদক সৌমেন। রাত ২টোর সময়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁকরাইল ও আবাদা স্টেশনের মাঝে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ। এর পরেই এই মৃত্যু-রহস্য নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দলের পক্ষ থেকে এটিকে খুন বলে অভিযোগ করা হলেও সৌমেনের পরিবার প্রথমে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে চায়নি। পরে রবিবার রাতে পরিজনেরা লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার জয়দেব বলেন, ‘‘ভাইয়ের মাথার পিছনে ও পাঁজরে আঘাত ছাড়া শরীরের আর কোথাও আঘাত নেই। ভাই ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেনি বা ট্রেন থেকে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটেনি। কেউ বা কারা ওকে খুন করেছে। আমরা চাই, পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের ধরুক।’’ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে প্রথমেই ময়না-তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘন্টা আগে থেকে সৌমেনের মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার দিন কে কে, কত বার তাঁকে ফোন করেছেন, তা দেখে প্রয়োজনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হতে পারে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সৌমেন নিখোঁজ হওয়ার পরে ভাল করে তল্লাশি না চালিয়েই রাত ১১টা নাগাদ কেন চ্যাটার্জিহাট থানায় তড়িঘড়ি নিখোঁজ ডায়েরি করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।