হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।
এখনও সরকারি ভাবে হাওড়া এবং বালি পুরসভা আলাদা হয়নি। অথচ মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের চূড়ান্ত আসন সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করে সেখানে পুর নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিল জেলা প্রশাসন। তাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি পেলেই পুর নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হবে।
গত ২৮ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই তালিকা সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ওই তালিকায় হাওড়া পুরভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য এবং ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। তফসিলি জনজাতির জন্য কোনও ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়নি। একই সঙ্গে ১, ৪, ৭, ১০, ১৩, ১৬, ১৯, ২২, ২৫, ২৮, ২৯, ৩২, ৩৫, ৩৮, ৪১, ৪৪, ৪৭, ৫০, ৫৩, ৫৬, ৫৯ ও ৬২— এই ২২টি ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
খসড়া তালিকা নিয়ে শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে আটটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিল। মূলত তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলি সাধারণ করার দাবি জানিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৩ জানুয়ারি ওই অভিযোগগুলির শুনানির পরে প্রশাসন সব ক’টি আলোচনা করে খারিজ করে দেয়। অর্থাৎ, খসড়া প্রস্তাবই চূড়ান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন পাল বলেন, ‘‘যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকলে তা মেনে নিয়েছেন। ফলে নির্বাচন করার জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুত। চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা ইতিমধ্যেই আমরা জেলা প্রশাসন ও পুরসভায় টাঙিয়ে দিয়েছি।’’
তবে হাওড়া পুর নিগম থেকে বালি পুরসভা আলাদা না হলে কী ভাবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরেই। কারণ, হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার জন্য যে বিল আনা হয়েছিল, তাতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেননি। তাই অনেকেই মনে করছেন, পুর নির্বাচন ঘিরে জটিলতা রয়েই গেল।