শিয়াখালায় ৩১ নম্বর রোডের পাশে সরকারি জমিতে দোকান। নিজস্ব চিত্র
সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে সম্প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে নেমেছে প্রশাসন। এর উল্টো ছবি চণ্ডীতলার শিয়াখালা পঞ্চায়েতে।
শিয়াখালায় ৩১ নম্বর রোডের পাশে পূর্ত দফতরের জমিতে দোকান উঠেছে বলে অভিযোগ। আবার ওই সড়ক থেকে অহল্যাবাই রোডের সংযোগকারী রাস্তার পাশে সেচ দফতরের জমির উপরে কংক্রিটের স্তম্ভ তোলা হয়েছে। দুই পাড় জুড়তে কাজ চলছে কালভার্টের। এই কাজে নাম জড়িয়েছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘একটা অভিযোগ জমা পড়েছে। এলাকা পরিদর্শন করা হবে। এ বিষয়ে মাইকে প্রচার করা হবে। তার পরে সরকারি ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এমন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কয়েক বছর আগে শিয়াখালা চৌমাথা এলাকায় একটি পুকুর বুজিয়ে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করা হয় বলেও অভিযোগ। পরপর এমন নির্মাণ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এই কাজগুলির পিছনে রয়েছেন এলাকার তৃণমূলের কয়েক জন নেতা।
এলাকার এক প্রৌঢ় বলেন, ‘‘সরকারি জমিতে কাজ চলছে। প্রশাসন কি ঘুমোচ্ছে? তৃণমূলের নেতারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না।’’ এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে শিয়াখালা রোডের পাশে একটি দোকান ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই দাম ২৫ লক্ষ টাকাও পেরিয়ে যাচ্ছে।
শিয়াখালার সিপিএম নেতা সোমনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘সেচ দফতরের যে জায়গায় স্তম্ভ তোলা হয়েছে, সেটিই শিয়াখালার একাংশ ও শ্রীপতিপুর এলাকার মূল নিকাশি। এলাকার পুকুর, নয়ানজুলি, সরকারি জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতারা এই কাজে জড়িত।’’
তৃণমূলের শিয়াখালা অঞ্চল সভাপতি সূর্য ঘোষালের অবশ্য দাবি, ‘‘বিরোধীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’