উলুবেড়িয়া ফেরিঘাটে বেঁধে রাখা হচ্ছে ভেসেল। ছবি: সুব্রত জানা।
‘ডেনা’র অভিঘাত হাওড়ার নদীতীরবর্তী এলাকাগুলিতে বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। ঝড়ের পাশাপাশি প্রশাসনের ভাবাচ্ছে তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাসও। দুর্যোগ মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল-রুম।
প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, ‘ডেনা’র জেরে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের। তাঁদের উদ্ধার করে রাখার জন্য ৪০টি ফ্লাড শেল্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও, বাছাই করা ৫৮টি স্কুলকেও এই উদ্দেশ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যে কেউ মহকুমাশাসকের অফিসের কন্ট্রোল-রুম (০৩৩-২৬৬১-৩১৩৩) এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার কন্ট্রোল-রুমে (৮৯১০৩৯৪১৫৮) যোগাযোগ করতে পারেন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা স্বাভাবিক করার জন্য পূর্ত দফতরের অধীনে থাকছে ১২টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’। সঙ্গে থাকছে সিভিল ডিফেন্সের অধীনে ১০টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ও। এ ছাড়াও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেচ, বিদ্যুৎ, এবং পূর্ত দফতরের অধীনে থাকছে এলাকাভিত্তিক ‘কুইক রেসপন্স টিম’। এনডিআরএফের একটি বাহিনী দু’টি যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে শ্যামপুরে ১ ব্লকে। আমতা ২ ব্লকে একটি, উদয়নারায়ণপুর ব্লকে একটি, শ্যামপুর ২ ব্লকে একটি এবং জেলা সদরে একটি যন্ত্রচালিত নৌকাও মজুত রাখা হয়েছে। উলুবেড়িয়া মহকুমায় এবং হাওড়া সদরে যথাক্রমে সিভিল ডিফেন্সের ৩০টি ও ২৮টি দল থাকছে। মূলত তারা রাস্তায় পড়ে যাওয়া গাছ সরানোর কাজ করবে। গাছ কাটার সরঞ্জাম তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, পুর এলাকাতেও ঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাউড়িয়া, চেঙ্গাইল এবং উলুবেড়িয়ার হুগলি নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এইসব এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্কুলে তুলে আনা হবে। সে জন্য ১০টি স্কুল এবং রবীন্দ্রভবনকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। সেখানে শুকনো ও রান্না করা খাবার এবং ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যেই বাউড়িয়ায় হুগলি নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে বলে জানান চেরায়ম্যান।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরসভার চারটি ঘাট থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন রুটে ফেরি পরিষেবা চলে। সেগুলি বুধবার থেকে দু’দিন বন্ধ রাখা হচ্ছে।