রাজাপুর থানার পিছনে নয়নজুলিতে তৈরি হচ্ছে পাকা নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকার এই নয়ানজুলির উপরে নির্মাণ নতুন নয়। ওই নির্মাণগুলির জন্য এলাকার জল নিকাশি ব্যাহত হয় বলে বহু বার অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ফের উলুবেড়িয়া-আমতা রোডে রাজাপুর থানার পিছনে সেই নয়ানজুলির উপরে মাথা তুলছে নির্মাণ। তা বন্ধের জন্য পূর্ত দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কেন ওই নির্মাণ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, উঠেছে সেই প্রশ্নও। উলুবেড়িয়া-২ বিডিও অভিজ্ঞা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নেব।’’ একই সুর পূর্ত দফতরের আধিকারিক জগন্নাথ সামন্তের গলাতেও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নয়ানজুলির উপরে বহু বছর ধরে নানা পাকা দোকানঘর তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পূর্ত দফতর ওই নির্মাণ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু নতুন এই নির্মাণ চলার সময়ে তা ভেঙে দেওয়া হল না কেন। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘নামমাত্র নিকাশি নালা রয়েছে। সেখান দিয়ে জল বেরোয় না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে।’’
বাণীবন পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য সুব্রত বেরার ক্ষোভ, ‘‘তৃণমূল নেতা ও পুলিশ-প্রশাসনের মদতে দিনের আলোয় এ ভাবে নালা বোজানো চলছে। কেউ কিছুই বলছে না। আগের নির্মাণগুলি নিয়ে বলত, ওগুলি আর ভাঙা যাবে না। তা হলে, এখন নতুন যেটা উঠছে সেটা এখনই ভেঙে দেওয়া হোক।’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণউদয় চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে একটার পর একটা নয়ানজুলি বুজছে। টাকা তোলার জন্য নালার উপরের জমিও বিক্রি চলছে। মানুষ এর জবাব দেবেন।’’
বাণীবন ধর্মতলার বাসিন্দা শেখ কালো এই নির্মাণটি করছেন।তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর ছেলে শেখ রাহুল ফোনে বলেন, ‘‘ওখানে তো আরও দোকান, বাড়ি রয়েছে। তাইআমরাও করছি।’’
বাণীবন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সত্যজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেব। এমন নির্মাণ করতে দেব না।’’ কিন্তু এত দিন ধরে চলা কাজ তিনি কেন জানতে পারলেন না? জবাব মেলেনি।