ফাইল চিত্র।
৭৫ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধে নির্দেশিকা জারি হয়েছে চলতি মাস থেকে। তাতে কাজও হয়েছে অনেকটা। এ বার শারোদৎসবে থার্মোকল অথবা প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে হুগলির পুরসভাগুলিতে এই মর্মে নির্দেশিকা এসেছে বলে খবর। নির্দেশ কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা। লিখিত আকারে এই নির্দেশিকা শহরের পুজো কমিটিগুলির হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুজোর মণ্ডপ তৈরিতে থার্মোকল অথবা প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রেও থার্মোকলের সাজ চলবে না। পুরকর্তারা জানান, শীঘ্রই পুরসভার তরফে আলোচনাসভা ডেকে গোটা বিষয়টি পুজো উদ্যোক্তাদের অবগত করা হবে। এর পরেও পুজো মণ্ডপ অথবা প্রতিমার সজ্জায় থার্মোকল বা প্লাস্টিকের ব্যাবহার হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃৎশিল্পী এবং ডেকরেটর সংস্থার লোকজনকেও জানিয়ে দেওয়া হবে।
পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর হিমাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শারদোৎসবের আয়োজনে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য এবং থার্মোকল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। পুরসভার তরফে প্রত্যেক পূজো কমিটিকে সেই নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুজো কমিটি, মণ্ডপ এবং প্রতিমাশিল্পী, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই বৈঠকে ডেকেও সব বুঝিয়ে বলে দেওয়া হবে।’’
শহরের মহিলা পরিচালিত একটি পুজো কমিটির পক্ষে দীপা দাস বলেন, ‘‘থার্মোকল বা প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পুরসভার কোনও নির্দেশনামা আমাদের কাছে আসেনি। তবে, পরিবেশ দূষণ রোধে অপচনশীল প্লাস্টিকজাত জিনিস বা থার্মোকল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, নিশ্চয়ই মানব। সে ক্ষেত্রে মণ্ডপ এবং প্রতিমাশিল্পীর সঙ্গে কথা বলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।’’
মৃৎশিল্পী বীরেন পাল বলেন, ‘‘প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে থার্মোকলের সাজের ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এখন তা ব্যবহার বন্ধের কথা বললে বিকল্প কিছু ব্যবহার করতে হবে। পুরসভা ঠিক কী বলে, সেটা জেনে সেইমতো ব্যবস্থা নিতে হবে।’’