আগ্রহী: সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ভিড় চাষিদের। কামারপুকুর ডাকবাংলো এলাকায়। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
হুগলিতে ধান কাটার পর্ব প্রায় শেষ। পরবর্তী আলু চাষের খরচ যোগাতে অনেককেই সেই ধান বিক্রি করতে হয়। বাজারে অভাবী বিক্রি এড়িয়ে চাষিরা যাতে শুরু থেকেই সরকারি সহায়ক মূল্যে তা বিক্রি করতে পারেন সেই অনুযায়ী ধান কেনার গতি বাড়াল খাদ্য দফতর। জেলার খাদ্য নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, “১৮টি ব্লকের ৩৪টি সরকারি ক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও অন্যান্য সব কেন্দ্রগুলি থেকে পুরোদমে ধান কেনা শুরু হয়েছে। চাষিদের হাতের কাছে কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিগুলোকে ধান কেনার গতি বাড়াতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়ে গিয়েছে”। চাষিদের ধান বিক্রিতে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, তা নিয়ে দফতর থেকে বিশেষ নজরদারি চলছে বলে তিনি জানান।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য গত নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা হয়। কেন্দ্রগুলিতে ধান বিক্রিতে ইচ্ছুক চাষিদের নথিভুক্তির কাজ চলছে গত ১৭ অক্টোবর থেকে। এ বার চাষিদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা গতবারের চেয়ে প্রায় ১ লক্ষ মেট্রিক টন বাড়িয়ে লক্ষ করা হয়েছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন (গত বছর ছিল ৪ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিক টন)। একই সঙ্গে গতবারের সহায়ক মূল্য ১০০ টাকা বেড়ে কুইণ্ট্যাল প্রতি দাম ধার্য হয়েছে ২ হাজার ৪০ টাকা। সরকারি ক্রয় কেন্দ্র তথা সিপিসিতে দিলে আরও ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা হিসাবে চাষিরা পাবেন ২ হাজার ৬০ টাকা। বর্তমানে জেলায় যার বাজার দর ১ হাজার ৬৭০টাকা।
খাদ্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনের তরফে ধান কেনার ব্যাপারে বেশি সংখ্যক সমবায় সমিতি ও স্বনির্ভরশীল গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। সমস্ত প্রক্রিয়াটির জন্য ব্লক স্তরে তিন জনের কমিটি থাকছে। ধানের গুণমান তদারকি এবং অন্যান্য সমস্যা হলে তার নিষ্পত্তি করবেন তাঁরা। চাষি পিছু সর্বোচ্চ ৪৫ কুইণ্ট্যাল ধান বিক্রি করতে পারবেন।