Ram Navami

প্রতি রামপুজোয় ফল বিলি করেন আক্রমরা

মাশিলার ওই এলাকায় বরাবরই হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা মিলেমিশে থাকেন। হিন্দুদের উৎসবে যেমন মুসলমান যোগ দেন, তেমনই মুসলমানদের নানা অনুষ্ঠানে মাতেন হিন্দুরা।

Advertisement

অরিন্দম বসু

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৩১
Share:

কলসযাত্রার পরে মহিলাদের হাতে ফল তুলে দিচ্ছেন এলাকার মুসলিম যুবকরা। নিজস্ব চিত্র।

রামনবমীর মিছিল ঘিরে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাণ্ডব চলেছিল হাওড়ার শিবপুরে। আর সেই জেলারই সাঁকরাইলে রামপুজো মিলেমিশে পালন করেন এলাকার হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। ৫০ বছর ধরে এমনটা চলছে মাশিলার রশিকলে।

Advertisement

মাশিলার ওই এলাকায় বরাবরই হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা মিলেমিশে থাকেন। হিন্দুদের উৎসবে যেমন মুসলমান যোগ দেন, তেমনই মুসলমানদের নানা অনুষ্ঠানে মাতেন হিন্দুরা। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁকরাইলের মাশিলা পঞ্চায়েতের আলমপুরের রশিকল এলাকায় স্থানীয় আজাদ ক্লাবের উদ্যোগে রাম নবমী উপলক্ষে অষ্টজাম বা অষ্টপ্রহর ধরে হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসে। মাশিলা, আলমপুর ও নিউ করোলা তিনটি গ্রামের দু’হাজারের বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই বছরেও তার অন্যথা হয়নি। শনিবার সকালে মাশিলার মহাপ্রভু আশ্রমের পুকুর থেকে কলসযাত্রার মাধ্যমে জল আনা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সকাল থেকে মহিলারা নির্জলা উপবাস করে কলসযাত্রা করার পরে তাঁদেরহাতে ফল তুলে দেন এলাকার মুসলমান যুবকরা।

Advertisement

এ দিন ফল বিলোনোর সময় আক্রম বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। আমাদের বাবা-কাকা এই কাজ করেছেন। তাঁদের দেখে আমরাও করি। আমাদের এলাকায় কোনও বিভেদ নেই। আমাদের মনেও কোনও এ নিয়ে দ্বিধা নেই।’’

স্থানীয় বাসিন্দা প্রণয় কাঁড়ার বলেন, ‘‘চারপাশে এত হিংসা দেখে আর ভাল লাগে না। ধর্ম কেন একজন মানুষের পরিচয় হবে? আমাদের এলাকায় সেই বিভেদ নেই। কখনও হবেও না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement