Food crops

হুগলিতে আনাজ আবার আগুন

ডিজ়েলের  আকাশছোঁয়া দামের জন্য পরিবহণ খরচ বৃদ্ধিকেও এর একটি কারণ বলে অনেকে মনে করছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২১ ০৬:৪০
Share:

গোঘাটের কামারপুকুর ডাকবাংলো আনাজ বাজারে তোলা ছবি।

পেট্রল-ডিজ়েলের দামের কাঁটা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। তার মধ্যে হুগলিতে আনাজের বাজারও আগুন। দামে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বেগুন। একশো পেরিয়েছে কাঁচালঙ্কা। করলার দামও কার্যত নাগালের বাইরে। সব মিলিয়ে, বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে গেরস্থের।

Advertisement

অর্থনীতির তত্ত্ব ধরে খুচরো ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, চাহিদা যত, সেই অনুযায়ী জোগান নেই আনাজের। তাই, দাম বাড়ছে। ডিজ়েলের আকাশছোঁয়া দামের জন্য পরিবহণ খরচ বৃদ্ধিকেও এর একটি কারণ বলে অনেকে মনে করছেন।

রবিবার হিন্দমোটর, শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটী, চুঁচুড়া প্রভৃতি জায়গায় কেজিপ্রতি বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। ছোট বেগুনের দাম ছিল ৮০ টাকা। করলা বিকিয়েছে ৮০ টাকায়। পেঁপের দাম ৪০-৫০ টাকায় ঘোরাফেরা করেছে। পটল এবং ঝিঙের দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি। বিনস, ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। পান্ডুয়ার বাজারে এক সপ্তাহ আগে যে উচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায় বিকিয়েছে, এ দিন তা কিনতে হয়েছে ৮০ টাকায়। বরবটির দাম দ্বিগুণ হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছে। ছোট আকারের একটি লাউ কিনতে ৩০ টাকা গুনতে হয়েছে।

Advertisement

পান্ডুয়া স্টেশন বাজারের আনাজ বিক্রেতা গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘আলুর দামটাই যা এক আছে। বাকি প্রায় সব আনাজ দিন সাতেকের মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমদানি কম থাকায় আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বিক্রি করতে হচ্ছে সেই অনুপাতে।’’

শেওড়াফুলি হাট এবং কৃষক বাজার হুগলিতে আনাজের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার। হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা, এমনকি অন্য জেলাতেও এখান থেকে আনাজ যায়। রবিবার এখানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, আনাজের জোগান কম। দাম আগুন। শেওড়াফুলি কৃষক বাজারের সভাপতি হরিপদ পাল বলেন, ‘‘ডিজ়েলের দাম বেশি হওয়ায় পরিবহণ খরচ বেড়েছে। ভিন্‌ রাজ্য থেকে আনাজ এনে পোষাচ্ছে না। অনেক ব্যবসায়ী তাই অন্য রাজ্য থেকে আনাজ আনা বন্ধ রেখেছেন। এ দিকে, লাগাতার বৃষ্টিতে জেলার আনাজ চাষ নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে জোগানে টান পড়েছে। দাম তো বাড়বেই।’’ একই অভিমত গোঘাটের কামারপুকুর ডাকবাংলো বাজারের আনাজ বিক্রেতা সঞ্জয় বৈরাগীর।

উদ্ভুত পরিস্থিতির যাঁতাকলে অবশ্য পড়তে হচ্ছে সেই আমজনতাকে। ভদ্রেদ্রেশ্বর বাসিন্দা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আনাজ কিনতে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। সবই যেন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।’’ আরামবাগ শহরের বিবেকানন্দ পল্লির সোমা মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘করোনা মোকাবিলায় জনজীবনে বিধিনিষেধের জন্য এমনিতেই সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রোজগারের ঠিক নেই। তার উপরে, আনাজের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ খাবেটা কী? আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজর
দেওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement