প্রতীকী ছবি।
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকার জে এন মুখার্জি রোডের একটি বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম দুলু ভৌমিক (৫০) এবং ছেলের নাম অয়ন ভৌমিক (৩০)। তাঁরা আগে বরাহনগরের কাছে বি টি রোডে থাকতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কী কারণে তাঁরা এমন করলেন, তা পরিষ্কার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে ৫৮/১ জে এন মুখার্জি রোডের একটি একতলা টালির চালের বাড়িতে ভাড়ায় আসে পরিবারটি। এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাঁরা কারও সঙ্গে মিশতেন না। অয়নের বাবা মুরারি ভৌমিককেও কেউ দেখেননি। ওই প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলেকে মাঝেমধ্যে পাড়ায় দেখা যেত। মৃত যুবক কী কাজ করতেন বা আদৌ কোনও কাজ করতেন কি না, তা এলাকার কেউ জানেন না।
পুলিশ জানায়, এ দিন সন্ধ্যায় এলাকার এক ব্যক্তি বাড়ির পিছনের জানলা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, সোমবার থেকে এলাকার কেউ ওই দু’জনকে দেখতে পাননি। তাই পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর ঘটনা এক দিনের মধ্যেই ঘটেছে। ওই বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে প্রৌঢ়া থাকলেও তাঁর স্বামী থাকতেন কি না, এলাকার কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত হবে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, মা ও ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। ঠিক কী কারণে তাঁরা আত্মঘাতী হলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। পরিবারের কর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করা হচ্ছে।’’