প্রতীকী ছবি।
বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পাশের গ্রামের এক যুবকের ঘর থেকে। মৃতার নাম যমুনা মুর্মু (৩১)। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ।
যমুনার শ্বশুরবাড়ি পান্ডুয়ার বড়সরসা গ্রামে। বছর ১১ আগে ওই গ্রামের দীপঙ্কর টুডুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দু’টি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু টুডু পরিবারের দাবি, মাস সাতেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়ে পাশের রূপকিনি গ্রামে শিবশঙ্কর মুর্মুর বাড়িতে থাকছিলেন যমুনা। কারণ হিসাবে তাদের দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যমুনার। বৃহস্পতিবার শিবশঙ্করের বাড়ি থেকেই যমুনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন যমুনা। যদিও যমুনার পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতার মাসি লক্ষ্মী হাঁসদা বলেছেন, ‘‘মেয়েটাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অশান্তি হত। শিবশঙ্কর মদ খেয়ে এসে মারধর করত। তার প্রতিবাদ করায় মেয়েটাকে মেরে ফেলেছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে।