এই দুর্গা মণ্ডপেই আরাধনা হয় দেবীর। —ফাইল চিত্র।
জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল রায়বাড়িতে এ বছর ৪৫৭তম দুর্গাপুজো। দেবী এখানে দশভুজা নন, চতুর্ভুজা সিংহবাহিনী রূপে পূজিত। মহালয়ার এক সপ্তাহ আগে কৃষ্ণনবমী থেকে চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে আরাধনার সূচনা হয়। ফলে প্রায় এক পক্ষকাল ধরে পুজোর আমেজ থাকে রায়বাড়িতে।
পরিবারের সদস্য অসিতকুমার রায় বলেন, “বাড়ির জমিদারির অন্তর্গত ৭টি মৌজার মধ্যে অনুমানিক ৩০০০ হাজার বিঘা জমি ছিল। সম্রাট আকবরের আমলে জমিদারির পত্তন হয়। এই পুজোর সূচনা করেছিলেন বর্ধমানের রাজা। নবমাদি কল্প প্রথায় পুজো হয়। চণ্ডীর নানা রূপ পাঠ চলে।”
পাতিহালের বেলেগ্রামে প্রাচীন কাল থেকেই চতুর্ভুজা দুর্গার পুজো প্রচলিত ছিল। এই দুর্গার আদলেই তৈরি হয় রায়বাড়ির প্রতিমা। অসিত জানান, অতীতের প্রথা মেনেই এখনও রায়বাড়ি থেকে বেলেগ্রামের সিংহবাহিনীর মন্দিরে পুজো পাঠানোর পরেই শুরু হয় বাড়ির নবমী পুজো।
এই পরিবারের প্রধান গৃহদেবতা শ্যামসুন্দর জিউ। চণ্ডী এবং মা নিস্তারিণীরও নিত্য পুজো হয়। বাড়ির অন্য সদস্যেরা জানান, এলাকায় তাঁদের ৯টি পুকুরের মাছ বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই সমস্ত পারিবারিক উৎসব ও গৃহদেবতার পুজোর খরচ মেটানো হয়। পুজোর অন্যান্য উপাচারের সঙ্গে প্রতি দিন ৫০০টি করে জবাপাতা, তুলসীপাতা ও বেলপাতার জোগান লাগে। দশমীর সন্ধ্যায় বরণের পরে পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।