সেজে উঠেছে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র। ছবি: সুব্রত জানা।
নতুন রূপে খুলতে চলেছে হাওড়ার শ্যামপুরের গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র। ভোল বদলে এ বছর শীতের মরসুমেই পর্যটকদের জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে।
গত বছরের আগে পর্যন্ত এই পর্যটনকেন্দ্র ছিল জেলা পরিষদের হাতে। কিন্তু তারা সুষ্ঠু ভাবে চালাতে পারছিল না। তার উপরে করোনা পরিস্থিতি এবং আমপানে বহু গাছ পড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের আনাগোনা আরও কমে। এই অবস্থায় গত তিন বছর ধরে এটি বন্ধই ছিল বলা চলে। জেলা পরিষদের তরফে গত বছর এটি একটি বেসরকারি সংস্থাকে ইজারা দেওয়া হয়। সংস্থাটির দাবি, তারা পর্যটনকেন্দ্রটির পরিকাঠামোগত উন্নতি করছে। সেই কাজের অনেকটাই সম্পন্ন। সেই কারণেই এটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই সংস্থা সূত্রের খবর, চিলড্রেন্স পার্ক, ক্যাফেটরিয়া, নৌকা বিহারের ব্যবস্থা থাকবে। পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে জেলা পরিষদের যে বাংলোগুলি রয়েছে, সেগুলি সংস্কার করে ভাড়া দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনার বেশির ভাগই হয়ে গিয়েছে। সংস্থার এক কর্তা জানান, নৌকা বিহারের জন্য ঝিল তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে নৌকা বিহার চালু হয়ে যাবে। চিলড্রেন্স পার্কও চালু হয়ে গিয়েছে। ক্যাফেটরিয়া তৈরির কাজ চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার থেকে পর্যটকরা নতুন গড়চুমুকের স্বাদ পাবেন।’’
এই পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে আছে হরিণ প্রকল্প। এটি মিনি জু-তে পরিণত হবে। তার কাজ চলছে। এখন হরিণ, কুমির, নানা প্রজাতির পাখি আছে। মিনি জু হলে আরও জন্তু-জানোয়ার আসবে। হরিণ প্রকল্পটি অবশ্য চালায় বন দফতর। গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রে যাঁরা আসবেন, তাঁরা হরিণ প্রকল্পও দেখতে পাবেন।
তবে, এই পর্যটনকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত কিছু ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। ভিতরের রাস্তাঘাট এখনও কিছুটা ভাঙাচোরা। চারদিকে যে পাঁচিল আছে, তা-ও বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। ফলে, রাতে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা। বেসরকারি সংস্থাটির এক কর্তা জানান, পাঁচিল ও রাস্তা মেরামতের জন্য তাঁরা জেলা পরিষদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানস বসু বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের নতুন বোর্ড সদ্য গঠিত হয়েছে। ওই আবেদন জমা পড়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’