খুলে গেল গড়চুমুক। — ফাইল চিত্র।
প্রায় তিন বছর পর, বৃহস্পতিবার থেকে খুলে গেল হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গড়চুমুক। তবে, এখানকার চিড়িয়াখানাটি খোলা হয়নি। ফলে, হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে অনেক পর্যটককে। জেলা বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানায় কাজ চলছে। শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে।
শীতের মরসুম এলেই হুগলি নদী ও দামোদর নদের সংযোগস্থলের কাছে প্রায় ১০৬ একর জমি নিয়ে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রে চড়ুইভাতি করতে ভিড় জমে। পর্যটনকেন্দ্রের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড। রাস্তার পূর্ব দিকে নদীর ধারে খোলা জায়গায় চড়ুইভাতির আসর বসে। পশ্চিম দিকে আছে পার্ক এবং চিড়িয়াখানা।
এতদিন পার্কটির দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল জেলা পরিষদ। সম্প্রতি তা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্থাটি পার্কটিকে ঢেলে সাজাচ্ছে।
ওই সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে পার্ক ঝোপঝাড়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। পরিষ্কারের কাজ চলছে। শিশুদের খেলনা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের বসার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। পার্কের ভিতরে কয়েকটি খাবারের স্টল করা হবে। থাকবে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও। কাজ শুরু হয়েছে।’’
তবে, এ দিন পার্কের ভিতরে চিড়িয়াখানা দেখতে পেয়ে হতাশ পর্যটকদের মধ্যে আদিত্য দেশমুখ বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়ে ছুটি পড়ে গিয়েছে। তাই ওদের নিয়ে এখানে এলাম। চিড়িয়াখানার গেট বন্ধ। খোলা থাকলে ওরা আনন্দ পেত। কবে, খোলা হবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে জানানো হচ্ছে না।’’ ঊর্মিলা পাত্র নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্র খোলা হয়েছে শুনে ছেলেকে নিয়ে এলাম। এসে দেখছি, পরিষ্কার করার কাজ চলছে। কাজ শেষ করেই খুলতে পারত।’’
এ সবরে মধ্যে পার্কের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খোলা তার নিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই বেসরকারি সংস্থার এক কর্তা। তিনি জানান, ওই তার থাকার জন্য মাঝেমধ্যেই গাছের ডাল কাটতে হচ্ছে। ঝড়ের সময় যদি গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়, বিপদ ঘটতে পারে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে ওই তার সরানো যায়, সেটা দেখা হবে।’’