ফুরফুরায় পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম এবং তপন দাশগুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র।
ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রথম বার ফুরফুরায় এলেন তপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দু’জনেই দেখা করলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে। বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটানোর পরে ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল ধর্মনিরপেক্ষ দল। তাই তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় ফিরহাদ হাকিমকে। আর ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হন তপন দাশগুপ্ত। এটা তৃণমূল বলেই সম্ভব।’’ তিনি এ-ও জানান, ফুরফুরায় উন্নয়নের কাজ চলছে। তবে সেটা এক দিনে হবে না। আস্তে আস্তে হবে।
ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান প্রসঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফিরহাদ বলেন, ‘‘তপন দাশগুপ্ত হুগলির ভূমিপুত্র। ফুরফুরায় এসে উন্নয়নের কাজ দেখতে পারবেন। আমার পক্ষে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সিনিয়র এক জন রাজনীতির লোককে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
অন্য দিকে, তপন বলেন, ‘‘দায়িত্ব পাওয়ার পর বুধবারই প্রথম ফুরফুরায় এলাম। প্রথমে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলাম। এর পর সব পীরজাদার সঙ্গেই দেখা হবে। কথা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফুরফুরার উন্নয়ন নিয়ে আমার উত্তরসূরি ফিরহাদ হাকিম কাজ করেছেন। আমি বলব না সবটাই হয়েছে। তবে অনেক কাজ হয়েছে। ফুরফুরা পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। সব ধর্মের মানুষ এখানে আসেন।’’
ওই সময় উঠে আসে নওশাদ প্রসঙ্গও। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের ৪২ দিনের গ্রেফতারি এবং তাঁর মুক্তির পর পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি দাবি করেছেন যে, এই সময় ফুরফুরায় শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের আসার পিছনে কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে। কারণ, নওশাদের গ্রেফতারির ঘটনায় ফুরফুরার মানুষজন ক্ষিপ্ত। তাই শাসকদলের কাউকে দেখে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার দায় হবে তৃণমূলেরই। সেই নওশাদের কথা উঠতেই ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘নওশাদ আমার ভাইয়ের মতো। সব পীরজাদা আমাদের কাছে সম্মাননীয়। উনি সম্মাননীয় ব্যক্তি। আবু বক্কর সিদ্দিকির জন্য ফুরফুরায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। তাঁর যাঁরা বংশধর, তাঁরা প্রত্যেকেই সম্মাননীয়। ত্বহার সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব আছে।’’
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘আমরা সবাইকে নিয়ে চলি। ফুরফুরা হল আবু বক্কর সিদ্দিকির জায়গা। দাদা হুজুরের মাজারে যাঁরা মাথা ঠেকাতে যান, তাঁদের আলিঙ্গন করা উচিত। উনিও (নওশাদ) পীরজাদা। আমি তো সবাইকে সম্মান করি। ওঁকে পুলিশ ধরেছে। আমরা কিছু করিনি।’’
অন্য দিকে, ত্বহা বলেন, ‘‘তপন’দা চেয়ারম্যান হয়েছেন। এতে আমি খুশি।’’